দেশব্যাপী চলমান করোনাভাইরাস টিকাদান কার্যক্রমে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা সাড়ে ১৩ লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষ টিকা নিয়েছেন। এ পর্যন্ত টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে ৪৯০ জন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই) রিপোর্ট করেছেন।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৭ জানুয়ারি থেকে আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সারাদেশে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৩ জন নাগরিক টিকাগ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পুরুষ নয় লাখ ২৩ হাজার ৫১৬ জন এবং নারী চার লাখ ৩৬ হাজার ৯৭ জন। তাদের মধ্যে ৪৯০ জন এইএফআই রিপোর্ট করেছেন।
এদিকে একদিনে টিকা নিয়েছেন দুই লাখ ২৬ হাজার ৯০২ জন। টিকাগ্রহীতার হিসাবে এটিই এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৯২ জন এবং নারী ৭৭ হাজার ১০ জন। টিকাগ্রহণের পর গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গের রিপোর্ট করেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৭২ হাজার ৭৩৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে নয় হাজার ৮৭২, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৯ হাজার, রাজশাহী বিভাগে ২৪ হাজার ৯২০জন, রংপুর বিভাগে ২০ হাজার ৮১১ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ হাজার ২৬ জন, বরিশাল বিভাগে ১২ হাজার ১৩৬ এবং সিলেট বিভাগে ১২ হাজার ৩৯৮ জন টিকা নিয়েছেন।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী মোট টিকাগ্রহণকারী ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৩ জনের মধ্যে- ঢাকায় তিন লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৪ জন, ময়মনসিংহে ৬০ হাজার ৬০২, চট্টগ্রামে তিন লাখ ১৯ হাজার ৯৫৯, রাজশাহীতে এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৩, রংপুরে এক লাখ ২৭ হাজার ৪৪৫, খুলনায় এক লাখ ৫৩ হাজার ১৮৫ জন, বরিশালে ৬৩ হাজার ৬৫৯ এবং সিলেট বিভাগে এক লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৬ জন টিকা নেন।
গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরদিন ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর সরকারি পাঁচটি হাসপাতাল এবং পরে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে এই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।