নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনিকে প্রত্যাহার এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারের দাবিতে মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় তিনি দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন। রাত পৌনে ১২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে কাদের মির্জা থানার ফটকে অবস্থান করছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বসুরহাট রূপালী চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেন আবদুল কাদের মির্জা। ফেনীর দাগনভূঁইয়া ও চট্টগ্রামে তার ওপর হামলা ও হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
এ সময় কাদের মির্জা বলেন, ‘৪৭ বছরের রাজনৈতিক জীবনে কেউ যদি আমি চাঁদাবাজি করেছি প্রমাণ করতে পারে, নিজ জিব্বা কেটে রাজনীতি থেকে বিদায় নেব।’
তার ছেলে তাশিক মির্জাকে যুবলীগ নেতা মিন্টু হত্যাকাণ্ডে এবং গাংচিলে মারামারির ঘটনার সঙ্গে জড়িত করার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন ছেলে আমি জন্ম দেইনি। সোমবারও মিন্টুর বাড়িতে আমি খেয়ে এসেছি। আমার ছেলে কোন স্বভাবের তা আপনারা সবাই অবগত রয়েছেন। স্থানীয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অথচ আমার নিরীহ ছেলেকে অপরাজনীতির হোতারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত করার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ মাইকিং করে এখানকার সব রাজনৈতিক দলকে স্বাধীনভাবে দলীয় কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য আমি প্রচারণা চালিয়েছি। তবে কোনো অস্ত্রবাজ মাদকসেবীকে কোনো দলের পদ-পদবীতে যেন কেউ না রাখেন এ আহ্বান জানাই। স্বচ্ছ রাজনীতির স্বার্থে সব দলকে এ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
অভিযোগ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘নোয়াখালীর এসপি অপরাজনীতির হোতা।তার কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আমি পাইনি। চট্টগ্রামের শপথ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পূর্বে তাকে আমি আমার নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি ব্যবস্থা না নেয়ায় দাগনভূঁইয়া আমার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। আমার গাড়িবহরে আমাকে বহন করা গাড়ির পেছনে একটি ট্রাক এসে দাঁড়িয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করলে সেদিন হয়তো আমাকেও ফেনীর জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরামের মত নৃশংস হত্যার ঘটনার স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হতো।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিংয়ে প্রমাণ হবে, কে কার ভাই। একরাম চৌধুরী, নিজাম হাজারী, স্বপন মিয়াজীরা ওবায়দুল কাদেরের ভাই না আমি আবদুল কাদের মির্জা ওবায়দুল কাদেরের ভাই। বড় ভাই ওবায়দুল কাদের মুক্তিযোদ্ধা, তাহলে আমি ছোটভাই আবদুল কাদের মির্জা রাজাকার না-কি? তাও ওই সভায় প্রমাণ হবে।’