পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থীদের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হচ্ছে। সেই যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের মধ্যে মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
একই সঙ্গে শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটির মেয়াদকাল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়নে চলতি মাসে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা গেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ইউজিসি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতাদের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউজিসির এক কর্মকর্তা জানান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নানা ধরনের দুর্নীতির অভিযোগ আসায় ইউজিসির পক্ষ থেকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেখানে একটি ইউনিক নিয়োগ বিধিমালা তৈরির প্রস্তাব করা হলেও তার বদলে ইউনিক যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়।
কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চাইলে তার ওপর প্রার্থীর যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে, তবে সরকারের জুড়ে দেয়া প্রার্থীর ন্যূনতম যোগ্যতার নিচে কাউকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর এসএসসি ও এইচএসসির ফল মূল্যায়ন করা হবে না। অনার্স ও মাস্টার্সের ফলাফলে সিজিপিএ গুরুত্ব দেয়া হবে। এই দুটি স্তরে ৩.৫ করে মোট সিজিপিএ ৭ নির্ধারণ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার বৃহত্তর স্বার্থে যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার চিন্তাভাবনা থেকে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে উচ্চশিক্ষা হিসেবে মাস্টার্স, এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য শিক্ষা ছুটি হিসেবে বর্তমান পাঁচ বছরের বদলে ছয় বছর করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা একাধিক সময় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।’