জঙ্গিবাদ উস্কে দেয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সরকারি বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভুয়া নিউজ ছড়িয়ে বিভিন্ন সময় বিতর্কিত হয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোটি কোটি টাকা খরচেরও অভিযোগ রয়েছে গণমাধ্যমটির বিরুদ্ধে। এছাড়াও সরকারি টাকায় বিভিন্ন দেশের সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগও রয়েছে আল জাজিরার বিরুদ্ধে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে একের পর এক বিতর্কের জন্ম দিয়ে যাচ্ছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ভুয়া খবর ছড়ানোর অভিযোগ বেশ পুরানো। গণমাধ্যমটির আক্রমণ থেকে বাদ যাননি জনপ্রিয় অনলাইন ব্লগার ও ডিজিটাল কন্টেন্ট নির্মাতা নাসের ইয়াসিনও। গত বছর তার প্রতিষ্ঠান নাস একাডেমির বিরুদ্ধে নগ্ন মিথ্যাচারে মেতে ওঠে আল জাজিরা।
নাস ডেইলি মূলত পর্যটন নিয়ে কাজ করলেও তাকে ইসরাইলের এজেন্ট আখ্যা দেয় কাতারের গণমাধ্যমটি। অপপ্রচারের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসংখ্য পেইজ খুলে তাতে বুস্টও করে আল জাজিরা। শুধু তাই নয় একাধিক নিউজ পোর্টাল খুলে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। শুধুমাত্র নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ করতেও দ্বিধা করেনি বিতর্কিত গণমাধ্যমটি। সাংবাদিকতার নিয়ম নীতি না মেনেই আল জাজিরার ঢালাওভাবে মিথ্যা ও গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান নাস ডেইলির প্রধান।
এরপরই নাস ডেইলির প্রকাশিত ভিডিওতে আল জাজিরার মুখোশ উন্মোচন করেন নাসের। এতে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যের ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষের কাছে ভালো খবর গুলো তুলে ধরলেও আরবদের মাঝে ভুয়া খবর ছড়ায় আল জাজিরা। এক অঞ্চলে প্রগতিশীল নীতি অন্য অঞ্চলে কট্টর নীতি। আর এভাবেই বিশ্বের মানুষকে বিভ্রান্ত করে আসছে আল জাজিরা। কাতার সরকারের টাকায় গণমাধ্যমটি যে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান, কিংবা সরকারকে আক্রমণ করতে দ্বিধা করেনা।
আল জাজিরা অর্থ দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে মিথ্যা ও গুজব ছড়ালেও জনপ্রিয়তা ও নিজের ফ্যান ফলোয়ার কাজে লাগিয়ে তাদের মোকাবিলা করেন নাস। নাস বলেন, সাংবাদিকতা মহান পেশা হলেও শুধুমাত্র আল জাজিরার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জেরে বিশ্ব গণমাধ্যম এখন হুমকির মুখে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমটিকে বিদেশি এজেন্ট হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।