বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর মোঃ খাইরুল আলম বলেছেন,আমরা পুলিশের সুনাম বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছি। জনগনের নিরাপত্তা দিতে আমরা সদা প্রস্তুত রয়েছি। আমরা জনগনের প্রথম ভরসা স্থল হতে চাই। বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারন জনগনের কাছে নির্ভেজাল সেবা পৌঁছে দিতে হবে। এখন থেকে জনগনকে পুলিশি সেবা নিতে দুর দুরান্ত থেকে আর থানায় আসতে হবেনা। প্রত্যন্ত এলাকার বিট অফিসারের মাধ্যমে সকল প্রকার পুলিশি সেবা নিতে পারবেন। প্রতিটি বিট অফিসার তার বিট এলাকার মানুষের সাথে মিশে তাদের সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করবেন। এতে করে স্থানীয় ভাবে অনেক সমস্যা সমাধান করা যাবে।এতে থানায় মামলা সংখ্যা কমে যাবে এবং জনগনের দুর্ভোগ লাঘব হবে। মনে রাখতে হবে আমরা বৃটিশ বা পাকিস্তানী পুলিশ নই।আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীন বাংলাদেশের জনগনের পুলিশ।
আজ রবিবার (৩১ জানুয়ারী) বেলা ১১টায় বরিশাল এয়ারপোর্ট থানায় অনুষ্ঠিত এয়ারপোর্ট থানার বিট অফিসারদের সাথে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন,বর্তমানে আমরা মুজিব বর্ষে আছি।এ সময়ে আমাদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন দেশের স্বপ্নের পুলিশ হতে আমরা একটি টিম ওয়ারী কাজ করতে চাই।আমরা নিজেদের উদ্দেশ্যে চাকরি করছিনা।রাষ্ট্রের উদ্দশ্যে পূরনের জন্য আমরা চাকরি করছি। আমরা জনতার পুলিশ হতে চাই। তাই জনগনের কথা শুনতে হবে,তাদের সাথে মিশতে হবে। অকারনে কোন মামলা জমিয়ে রাখা যাবেনা।যথা সময়ে ওয়ারেন্ট তামিল করতে হবে।বিট এলাকায় বসে সমস্যা সমাধান না হলে থানায় মামলা নিতে হবে।দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে।দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে আমাদের মন মানষিকতার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।সেই লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সত্যিকারার্থে জনগনের সেবক হতে কাজ করছে পুলিশ।কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে আমরা জনগনের পুলিশ হতে কাজ করছি। প্রত্যেক এলাকার বিট অফিসারকে যথাযথ ভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর)মোঃ খাইরুল আলম বলেন,করোনা কালে সঠিক ভাবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে জনগনের দোড়গোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে হবে।পুলিশের প্রতি সাধারন মানুষের ভাল ধারনা তৈরী করতে হবে।জনগন ও পুলিশের মধ্যে সু- সম্পর্ক গড়ে তুলে পুলিশ ও জনগনের মাঝে দুরত্ব কমিয়ে আনতে হবে।মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান জিরো টলারেন্স।মাদকের করাল গ্রাস থেকে আমাদের যুব সমাজকে বাঁচাতে হবে।সমাজ থেকে মাদক দুর করতে হলে আগে নিজেদেরকে মাদক মুক্ত হতে হবে।মাদকের সাথে কোন পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তাকে ছাড় দেয়া হবেনা।আমরা এয়ারপোর্ট থানা এলাকাকে ইভটিজিং,মাদক ও সন্ত্রাসী মুক্ত থানা গড়তে চাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার উত্তর রুনা লায়লা বলেন,বিট ভিত্তিক কাজ করলে কর্মক্ষেত্রে আমাদের কাজের পরিধি কমে যাবে এবং সমাজে অপরাধ প্রবনতা কমে শৃংখলা চলে আসবে। প্রত্যক বিট অফিসারকে তার নিজস্ব বিট সম্পর্কে পুরোপুরি ধারনা থাকতে হবে। বিট অফিসারকে তার কর্মএলাকার সাধারন জনগনের সাথে মিশে কাজ করতে হবে।তাহলেই আমাদের কাজ আরও সহজ হবে এবং জনগন নির্ভেজাল পুলিশি সেবা পাবে।
এয়ারপোর্ট থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার নাসরিন জাহান বলেন,মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে আরো বেশী সচেতন হতে হবে।গুরুত্ব সহকারে মামলা নিস্পত্তি করতে হবে।সমাজ থেকে অপরাধ নির্মুলে আমরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।এখন থেকে আপনারা নিজস্ব বিটে কাজ করবেন। প্রত্যক বিট অফিসারের কাছে এলাকার মাদক ব্যবসায়ী,চোর,ওয়ারেন্ট ও নাইট গার্ডদের আলাদা আলাদা তালিকা থাকতে হবে।এমন ভাবে বিটে কাজ করতে হবে।যেন এলাকার সব কিছু আপনাদের নখদর্পনে থাকে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ বিন আলম,পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শাহ মোঃ ফয়সাল,পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন বিপ্লব মিস্ত্রী প্রমুখ।