বাংলাদেশে প্রথম আলেম হিসেবে করোনার টিকা নিয়েছেন দাতব্য প্রতিষ্ঠান আল-মারকাজুল ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মুফতি হামজা ইসলাম।
বুধবার গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের পরই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেন তিনি।
শুরুতেই টিকা গ্রহণের অনুভূতি জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় সঙ্গে কথা বলেছেন মুফতি হামজা ইসলাম।
তিনি বলেন, করোনা মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর এতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফনে সবার আগে এগিয়ে এসেছে আল-মারকাজুল ইসলামী। ওই সময় সবার মধ্যেই একটা অজানা আতঙ্ক ছিল।
করোনা আক্রান্তদের মরদেহ ফেলে রেখে যাওয়ার মতো অমানবিক ঘটনাও ঘটেছে দেশে। এমন প্রেক্ষাপটে মানবতার সেবায় আমরা সবার আগে মৃত ব্যক্তিদের চূড়ান্ত দাফন-কাফনের কাজ সম্পন্ন করেছি। এরপরই অনেকে এ কাজে আগ্রহী হয়েছেন।
হামজা ইসলাম বলেন, মানবতার সেবায় আল-মারকাজুল ইসলামী সবার আগে এগিয়ে থাকতে চায়। সেই ধারাবাহিকতায় আমি নিজেই আজ টিকা নিয়েছি। আশা করি এর মাধ্যমে সবার মাঝে একটি ভালো ম্যাসেজ যাবে।
কোনো গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে নির্ভয়ে টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তরুণ এই উদ্যোগী আলেম।
তিনি বলেন, সবাইকে অনুরোধ করব- আপনারা কোনো গুজবে কান দেবেন না। একবার ট্রাই করে দেখুন। ইনশাআল্লাহ করোনার টিকা আমাদের জন্য উপকারী হবে বলেই আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।
গত ২৯ মার্চ প্রথম রাজধানীর খিলগাঁও-তালতলায় করোনায় মৃত সন্দেহভাজন এক নারীর লাশ দাফনের মাধ্যমে আল-মারকাজুল ইসলামী আনুষ্ঠানিক কাজ শুরু করে।
এরপর থেকে দেশের শীর্ষ ব্যক্তিসহ করোনায় মৃতদের দাফনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন সংস্থাটির কর্মীরা।
মানবতার এ সংকটে আল মারকাজুল ইসলামী শুধু মুসলিম নয়, ধর্মীয় পরিচয় ছাপিয়ে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সেবায়ও এগিয়ে এসেছে।
প্রসঙ্গত ১৯৮৮ সালে নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুফতি শহিদুল ইসলাম প্রথম আল-মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন।
তখন থেকেই এ সংস্থাটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।