কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে পরিবেশগত ছাড়পত্রবিহীন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও নতুন স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে ব্যর্থতায় চার সচিবসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে কেন ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারতি আশীষ রঞ্জন দাসের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
রুল জারি হওয়া বিবাদীরা হলেন- পরিবেশ ও বন সচিব, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন সচিব, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ সচিব, নৌপরিবহন সচিব, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ও সাইদ আহমেদ কবির।
পরে আইনজীবী সাইদ আহমেদ কবির দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০০৭ সালে কোস্টাল অ্যান্ড ওয়েটল্যান্ড বায়োডায়ভার্সিটি ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টের (সিডব্লিউবিএমপি) এক জরিপে দেখা যায় সেন্টমার্টিনে ৭৪টি অবৈধ স্থাপনা রয়েছে।
সেই জরিপের প্রেক্ষিতে এসব অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে বেলার পক্ষ থেকে ২০০৯ সালে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। সেই রিটের শুনানি শেষে ২০১১ সালের ২৪ অক্টেবার আদালত রায় দেন যে- পরিবেশগত ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ছাড়পত্রবিহীন স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। একসইঙ্গে ছাড়পত্রবিহীন নতুন কোন স্থাপনা নির্মাণ না করা ও বিরল প্রজাতির প্রাণী সংরক্ষণের নির্দেশও দেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী সাইদ আহমেদ কবির আরও বলেন, আদালতের সেই নির্দেশ সত্ত্বেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়নি এমনকি তা ক্রমবর্ধমান রয়েছে। সে কারণেই বেলার পক্ষ থেকে দুদিন আগে আমরা হাইকোর্টে আাদলত অবমাননার আবেদন করি। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আজ (মঙ্গলবার) এই রুল জারি করেছেন।