বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মন্নান বলেছেন, এক সময়ে এদেশ উপনেবেশিক শাষন থেকে বেড় হয়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি মাত্র ৫০ বসর হতে চলেছে। এর মধ্যে সামরিক শাষক থেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের জীবন থেকে ২০টি বসর কেড়ে নিয়েছে।
আমরা এইতো ১১ থেকে ১২ বসরে দেশের অনেক পরিবর্তন করতে পেরেছি। আমাদের সরকার সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে সক্ষম হয়েছি।
এক সময়ের ক্ষুধা ও দারিদ্র দেশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়ে সম্মান সূচক স্থানে নিয়ে আসার অর্জণ করার সফলতা দেখিয়েছে।
এটি সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ অগ্রগামী দলের প্রধান শক্তি আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে বলে। তিনি আরো বলেন, মাঠ প্রর্যায়ে তথ্য সংগ্রহকারী কর্মীদের আমরা ৭দিনের মধ্যে তাদের পারিশ্রমিকের টাকা তাদের মোবাইলে পাঠিয়ে দেব।
যাতে করে বিগত দিনের মত কাজ করে টাকার জন্য ঘুড়তে হয়েছে সে রকম ঘটনা আর ঘটতে দেয়া হবে না। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম.এ মন্নান আরো বলেন বরিশালের উন্নয়নমূলক কাজকে আর অবহেলিত করে দেখা হবে না।
এসময় তিনি মন্ত্রালয়ে বরিশাল বিসিসির উন্নয়নমূলক প্রকল্পের কাজের বরাদ্ধ আটকে থাকার ফাইল দ্রুত অনুমোদন করে দেয়ার আশ^াষ দেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ই) জানুয়ারী সকাল ১১ টায় বরিশাল সার্কিট হাউজ ধাঁনসিড়ি মিলনায়তন সভা কক্ষে জনশুমারি ও গ্রহ গণনা -২০২১ এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি আসনে তিনি একথা বলেন।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত) সচিব ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পরিসংক্ষান ও তথ্য ব্যবস্থপনা বিভাগ পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী,বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ও বরিশাল জেলা প্রশাসক জসীস উদ্দীন হায়দার প্রমুখ।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রতি দশ বছর পর জনশুমারী হয়। এবারে তারা আগেকার চেয়ে সমৃদ্ধ তথ্য এবং ট্যাবের মাধ্যমে পেপার লেস কার্যক্রম করবেন। যেখানে চার লাখ কর্মী এই জনশুমারী ও গৃহগণনা তথ্য সংগ্রহে কাজ করবে। এই কাজে সঠিক তথ্য দেয়ার জন্য সবার কাছে আহবান করেন।
মতবিনিময় সভায় বিসিসি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ বলেন,আজ বরিশাল বিসিসি’র প্রকল্প দুটি প্রোজেক্টের ফাইল মন্ত্রালয়ে আটকে থাকার কারনে আলোর মুখ দেখছে না অজ্ঞাত কারনে।
এখানে আমার কাজের বাধাগ্রস্থের মাধ্যমে বরিশালের উন্নয়নমূলক কাজের ক্ষতিগ্রস্থ করার মাধ্যমে তারা প্রধানমন্ত্রীকে ছোট করা সহ আওয়ামীলীগকে ক্ষতিগ্রস্থ করছেন।
তিনি এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এখানে আমি টাকা বানাতে আসি নাই। টাকা বানাতে হলে এখানে আসা লাগবে না। টাকা বানাবার অনেক স্থান আছে। আমি বাবা-মার নাম ডুবাতে আসি নাই। তিনি আরো বলেন এখানে দায়ীত্ব নেয়ার আগে অনেক পরিকল্পনা করেছিলাম শুধু বরাদ্ধের অভাবে সেখান থেকে অনেক দুরে সরে এসছি।