ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে শান্তা আক্তার (২৫) নামে তিন সন্তানের জননীকে হাত-পা বেঁধে মারধরের পর শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে চিরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে চাচা হুমায়ূন মিয়া ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামে রোববার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত শান্তা আক্তার সুলতানপুর ইউনিয়নের শিলাউর গ্রামের আলগাবাড়ির আইয়ুব মিয়ার মেয়ে ও একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির রাজমিস্ত্রী রাসেল মিয়ার স্ত্রী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়েক দিন আগে শান্তার ছেলের সঙ্গে চাচা হুমায়ূন মিয়ার ছেলের ঝগড়া হয়েছিল। এ নিয়ে হুমায়ূন মিয়া শান্তাকে গালাগাল করে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।
রোববার সন্ধ্যায় শান্তা আক্তার ডাক্তার দেখাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে যেতে বাড়ি থেকে বের হয়। সেসময় হুমায়ূন মিয়া মুখোশপরা কয়েকজন সহযোগী নিয়ে শান্তাকে আটক করে তার হাত-পা বেঁধে ফেলে। বেধড়ক মারধরের পর শান্তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্লেড দিয়ে চিরে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় শান্তার চিৎকারে তার মা রওশন আরাসহ স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হুমায়ূন মিয়া ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত শান্তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেনারেল হাসপাতালে নেয়।
শান্তার মা রোশনা আক্তার বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা নিয়ে শান্তা ডাক্তার দেখাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাচ্ছিল। সেসময় হুমায়ূন মিয়া তার কয়েকজন মুখোশপরা সহযোগী নিয়ে শান্তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে রক্তাক্ত করে।’
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শান্তা আক্তার জানান, হুমায়ূন মিয়া কয়েকদিন ধরে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। রোববার রাতে তাকে হাত-পা বেঁধে মারধোর শেষে ব্লেড দিয়ে পুচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ততত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, ‘আহত গৃহবধূকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা বর্তমানে স্থীতিশীল। আপাতত তিনি শঙ্কামুক্ত।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, ‘বিষয়টি শুনে হাসপাতালে পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় সোমবার রাতে পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি। তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’