শামীম আহমেদ: বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার উত্তর চাখার ইউনিয়নের দড়িকর গ্রামে তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষনের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই ধর্ষিতা নারী।
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরিশাল জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্ত করে আগামী ৮ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নিদেশ প্রদান করেছেন।
মামলার আসামীরা হলেন, মৃতঃ আক্কেল আলী হাওলাদারের ছেলে আন্টু হাওলাদার, মৃতঃ লিয়াজ উদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে সেলিম হাওলাদার, ও মৃতঃ ইসমাইল সরদারের ছেলে সেলিম সরদার।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর বানারীপাড়া উপজেলার উত্তর চাখার ইউনিয়নের দড়িকর গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী নিজ ঘরে রান্নাবান্না করছিলো। এসময় মামলার ১নং আসামী একই এলাকার মৃতঃ আক্কেল আলী হাওলাদারের ছেলে আন্টু হাওলাদার সিলিং ফ্যান নেওয়ার কথা বলে তাকে ডেকে আনে। পরে গামছা দিয়ে গৃহবধুর মুখ বেঁধে ধর্ষন করে। এসময় ধর্ষিত ওই নারীর স্বামী বাবুল হোসেন ঘরে আসলে ধর্ষন আন্টু হাওলাদার এর সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ওই এলাকার মৃতঃ লিয়াজ উদ্দিন হাওলাদার এর ছেলে সেলিম হাওলাদার, ও মৃতঃ ইসমাইল সরদারের ছেলে সেলিম সরদার ধর্ষক আন্টু হাওলাদারকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতহওয়া ওই নারী ও তার স্বামী বাবুল হোসেন বানারীপাড়া থানায় মামলা করতে যেতে চাইলে স।থানীয় চেয়ারম্যান খিজির সরদার ওই নারীকে ধরে নিয়ে দড়িকর গ্রামের একটি বাড়িতে দশ দিন বন্দি করে রাখে। দশ দিন বন্দি থাকার পর চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি সে পালিয়ে চলে আসে।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাবুল হাওলাদার বলেন, আন্টু এই ঘটনার আগে বেশ কয়েকবার আমার স্ত্রীকে কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। কিন্তু আমার স্ত্রী এতে রাজি না হওয়ায় আন্টু ও তার সহযোগীরা মিলে আমার স্ত্রীকে ধর্ষন করেছে। তিনি বলেন, এলাকার চেয়ারম্যান খিজির সরদার ধর্ষদের পক্ষ নিয়ে এই ঘটনার একটি সুষ্ঠ সমাধান করে দেবে বলে আমাদের জানায়। তবে সে আমার স্ত্রীকে নিয়ে বন্দি করে রাখে। আর আমাকেও বাড়িতে যেতে দেয়না। বন্দি করে রাখা অবস্থায় চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা আমার স্ত্রী’র কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে।