কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনু হত্যার এক বছর পেরিয়ে গেলেও এই খুনের রহস্য উন্মোচিত হয় নি। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ ( রবিবার) রাতে কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের কাছ থেকে পুলিশ নিহত তনুর লাশ উদ্ধার করে।
তনু হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সমগ্র দেশের মানুষ। বিদেশেও এই হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বলা হয় এই হত্যার বিচার হবে। শুরু হয় তনু হত্যা নিয়ে তদন্ত। কিন্তু এখন পর্যন্ত তনু হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয় নি।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ধর্ষণের পর নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এমন একটি চাঞ্চলকর হত্যাকান্ডের এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিচারের অগ্রগতি চোখে না পড়ায় হতাশা ব্যাক্ত করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ।
তিনি বলেন, ‘তনুর মতো একটি মেয়েকে হত্যা করা হলো। স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি প্রতিবাদ হলো। তবুও এই হত্যার বিচার হলো না। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। আমরা আসলে সামাজিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি। সমাজে আইনের শাষন বাস্তবায়ন এবং সমাজকে ভালো রাখতে হলে তনু হত্যার বিচার করতে হবে।’
এক বছর আগে তনু হত্যার প্রতিবাদে যে কজন বিশিষ্ট ব্যাক্তিত্ব শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন তাদের মধ্যে নাসির উদ্দিন ইউসুফ ছিলেন অন্যতম। তিনি বলেন, ‘তনু হত্যার বিচার করতে হবে। নয়তো এই বিচারহীনতা অপসংস্কৃতি আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে আরো ভয়ংকর করে তুলবে।’