রির্পোটঃএইচ আর হীরা ॥
অধ্যক্ষের কাছে চাঁদা দাবীর মামলায় বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাপ্পী ও তার ৩ সহযোগীকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। গ্রেফতারের পর তাদের দুপুর ১ টায় বরিশাল অতিরিক্ত চীফ মেট্রো পলিটন আদালতে উঠালে বিচারক অমিত কুমার দে তাদের আদালতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।এর আগে শনিবার রাত থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। বাকী আটককৃতরা হলো ছাত্রলীগ নেতা আ ন ম হাফিজ, এইচএম হাসিবুল ইসলাম ও রুবেল ব্যাপারী।কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, গত শনিবার রাতে হাতেম আলী কলেজের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মো. অলিউল ইসলাম বাদী হয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর শচীন কুমার রায়ের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবী করে আসছিলো অছাত্র বহিরাগত রেজাউল ইসলাম বাপ্পী। দাবীকৃত চাঁদা না দেয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের মারধর এবং কলেজ বন্ধের হুমকী দেয় সে। কলেজ কতৃপক্ষ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় গত ১৬ মার্চ বাপ্পী কলেজ অধ্যক্ষের কাছে পুণরায় ২ লাখ টাকা চাঁদ দাবী করে।অধ্যক্ষ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাপ্পী ও তার সহযোগীরা অধ্যক্ষের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করে এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের হত্যার হুমকী দেয়। এ ঘটনায় কলেজের পক্ষে শনিবার রাতে প্রভাষক মো. অলিউল ইসলাম বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।পুলিশ মামলাটি আমলে নিয়ে ওই রাতেই সরকারী সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ছাত্রলীগের বিতর্কিত বহিস্কৃত সভাপতি রেজাউল ইসলাম বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে। বাকি ৩ সহযোগী ছাত্রলীগ নামধারী আ ন ম হাফিজ, এইচএম হাসিবুল ইসলাম এবং রুবেল ব্যাপারীকে ভোর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে।ওই মামলায় আজ গ্রেফতারকৃতদের আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। এর আগেও বাপ্পী বিভিন্ন সময় অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরন করেন।তার অত্যাচারে অতিস্ট কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা। অপকর্মের কারনে সম্প্রতি তাকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি পদ থেকে বহিস্কার করে মহানগর ছাত্রলীগ।এরপরও ছাত্রলীগ পরিচয়ে চাঁদাবাজীসহ নানা অপকর্ম করে আসছিলো
(Visited ৪ times, ১ visits today)