জাল ডিক্রি ও কাগজপত্র সৃষ্টির মাধ্যমে জমি আত্মসাতের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ভূইয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বরিশাল মেট্র্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নগরীর কাউনিয়া বর্মন রোডের ব্যবসায়ী ইকবাল আজম খান মামলাটি করেন।
আদালতের বিচারক মো. আনিছুর রহমান শুনানী শেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেনশকে (পিবিআই) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলায় অভিযুক্ত দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার আব্দুল হালিম ভূইয়ার ছেলে ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা।
এছাড়া অন্যান্যরা হলেন-কাউনিয়া ১ম গলির মৃত কাজী মোকলেছুর রহমানের ছেলে কাজী মফিজুল ইসলাম ওরফে কাজী কামাল, আমানতগঞ্জ মোড় এলাকার চৌধুরী কমপ্লেক্সের মৃত ইস্তিনিয়ার আলী খন্দকারের ছেলে শাহ আলম আনসারী এবং গৌরনদী উপজেলার গৌলা এলাকার মৃত অমল দাসের ছেলে অনিক দাস। সে বর্তমানে আমানতগঞ্জ এলাকায় থাকেন।
আদালত সূত্র জানায়, নগরীর বর্মন রোডের বাসিন্দা ইকবাল আজম খানের বগুড়া আলেকান্দা মৌজায় .৬৪ শতাংশ জমির কাগজপত্র দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা সৃষ্টি করেন।
এছাড়া চলতি বছর ৬ জানুয়ারি দেলোয়ার হোসেন ও অনিক দাস বরিশাল সহকারি জজ আদালতে ইকবাল আজম খানসহ অপরাপরদের বিবাদী করে ০৯/২০২০ একটি দেওয়ানি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা ১৯৭৫ সালের একটি ডিক্রিমূলে জমির মালিক বলে দাবি করেন। কিন্তু ইকবাল আজম খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ওই ডিক্রির কোন অস্তিত্ব নাই।
যার স্বাক্ষরে ওই ডিক্রির সইমোহর নকল নেওয়া হয়েছে তিনি সেসময় কাজেই যোগদান করেননি। এছাড়া ১৯৭৫ সালের ৬ মার্চ ৩৫৩/১৯৭৫ নম্বর মামলার মাধ্যমে সম্পত্তি তারা পেয়েছেন।
এবিষয়ে ইবকাল আজম খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ১৯৭৫ সালের ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৩৫১/১৯৭৫টি মামলার লিপিবদ্ধ হয়েছে। ঘটনার দিন গত ২৪ নভেম্বর দেলোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা বেআইনিভাবে জমিতে প্রবেশ করে তা দখলে নেয়ার চেষ্টা করলে ইকবাল আজমসহ অন্যান্যরা বাঁধা দেয়।
এতে তার ক্ষিপ্ত হয়ে যে কোন মূল্যে জমি দখল নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ঘটনায় মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ওই আদেশ দেন।