মেধাবী তরুণরা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমাদের এই তরুণ জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০২০’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের প্লাটফর্ম ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০২০’র এবারের অর্থাৎ ১৭তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ‘টাইম ট্রাভেলার্স’। বিজয়ীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) শিক্ষার্থী।
প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্স-আপ হয়েছে ‘এ্যানিথিং ওয়ার্কস’ এবং দ্বিতীয় রানার্স-আপ হয়েছে ‘গো ফর ইট’।
কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা এই প্রতিযোগিতায় প্রায় দুই হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রশিক্ষণ এবং বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক ধাপের মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্যায়ে সোমবার এই তিনটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্যাটেল অব মাইন্ডসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের মেধা প্রদর্শন করতে পারে, তেমনি প্রচলিত গণ্ডির বাইরে গিয়ে ভাবতে শেখে। আগামীর জন্য নেতৃত্ব তৈরি করতে পুঁথিগত বিদ্যা এবং কর্পোরেট কর্মজীবনের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করে এই প্লাটফর্ম। এছাড়া প্লাটফর্মটি কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বেকারত্বের সমাধানও নিশ্চিত করছে, যা বাংলাদেশ সরকারেরও অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
তিনি বলেন, আমাদের মেধাবী তরুণরা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। আমাদের এই তরুণ জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিতে আমাদের তরুণরা যেন সঠিক জ্ঞান এবং কর্মদক্ষতায় সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তরুণদের প্রতিভা বিকাশে সঠিক প্লাটফর্ম আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সৃষ্টিশীলতা, আবিষ্কার, প্রতিযোগিতা, উৎসাহ, নেটওয়ার্কিং হচ্ছে সমৃদ্ধির মূল মন্ত্র, যা জীবনে চলার পথকে মসৃণ করে।
অনুষ্ঠানে ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’র আয়োজক ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো (বিএটি) বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেহজাদ মুনিম বলেন, হাতে হাত ধরে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়াতে বিশ্বাস করে বিএটি বাংলাদেশ। এটাই এই প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র। গত দেড় যুগের বেশি সময় ধরে ব্যাটেল অব মাইন্ডস দেশজুড়ে কয়েক হাজার মেধাবী তরুণকে এমন একটি প্লাটফর্ম দিয়েছে, যেখানে তারা বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করে আসছে। এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হল শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সেরাটা বের করে আনা এবং আশা করি আমরা সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছি।
দেশে তরুণদের প্রতিভা বিকাশে এবং বাংলাদেশ সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অংশ হিসেবে কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যাটেল অব মাইন্ডস আরও বেশি ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএটি বাংলাদেশ ২০০৪ সাল থেকে ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ আয়োজন করছে। এ বছর ১৭তম আসর অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়ালি এবং সেখানে দেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় দুই হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মৌলিক এবং উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে বিভিন্ন বাস্তব সমস্যার সমাধান করেন। গ্র্যান্ড ফিনালেতে অংশগ্রহণকারীরা নির্ধারিত বিচারক প্যানেলের সামনে নিজেদের চূড়ান্ত পরিকল্পনা ও সমাধান উপস্থাপন করেন। বিভিন্ন ধাপে বাছাই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে সেরা ১৮ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়ার সুযোগ পান।