স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘মুজিববর্ষে দেশের ১০টি জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরুর মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতের আরেকটি মাইলফলক সৃষ্টি হয়েছে। দেশে ১১৮টি পিসিআর ল্যাবে আগে থেকেই কোভিড টেস্ট হয়ে আসছিল। এখন নতুন করে ১০টি জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হলো। এই টেস্টটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত। প্রথম অবস্থায় কেবল সেসব স্থানেই এই টেস্ট শুরু করা হচ্ছে যেখানে পিসিআর ল্যাব নেই। তবে খুব দ্রুতই এই টেস্টের স্থান ও সংখ্যা বাড়ানো হবে।’
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতাধীন আইইডিসিআর কর্তৃক আয়োজিত অনলাইন জুম মিটিংয়ে অংশ নিয়ে দেশের ১০ জেলায় অ্যান্টিজেন টেস্ট সুবিধার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
যশোর সরকারি হাসপাতালের অ্যান্টিজেন পরীক্ষার উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, ‘ অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে মাত্র ১৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিটেই রেজাল্ট পাওয়া যাবে, যা যেকোনো জরুরি অপারেশনসহ অন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কাজে লাগবে। র্যাপিট অ্যান্টিজেন টেস্টের জন্য সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী কিটের ব্যবহার করা হবে। এই টেস্টের জন্য কোন বাড়তি টাকা খরচ করতে হবে না। মাত্র ১০০ টাকাতেই এই টেস্ট করা যাবে। এই অ্যান্টিজেন টেস্টের কিটগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ছাড়া আনা হবে না এবং কিট ব্যবহারে সন্দেহমুক্ত থাকা হবে।’
উল্লেখ্য, পয়েন্ট অব এন্ট্রি অর্থাৎ সব বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দরগুলোতে এই অ্যান্টিজেন কিট প্রযোজ্য হবে না। তবে, দেশের সব সরকারি হাসপাতালে, যে সব স্থানে পিসিআর ল্যাব নেই বা সংক্রমণ বেশি হচ্ছে এ সব স্থানে এই কিট ব্যবহার করা হবে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) নাসিমা আকতারসহ অন্য সংশ্লিষ্ট জেলার হাসপাতাল প্রধান, সিভিল সার্জনরা। সভায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।