পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশ উত্তাপ ছড়ালেও অবশেষে সুর নামিয়েছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র। উত্তর কোরিয়া বিষয়ে চীনের কঠোর সমালোচনা করা যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে এক সঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছে দুটি দেশ। একই সুর এসেছে চীনের পক্ষ থেকেও। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এ ঘোষণা এসেছে। শনিবার টিলারসন এ বৈঠক করেন। উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বিশ্বের বৃহত্তম দুটি অর্থনীতির দেশের সম্পর্কে অন্যতম বাধা হয়ে আছে।
শুক্রবারই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন জানিয়েছিলেন, উত্তর কোরিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ধৈর্যে্যর সীমা শেষ হয়ে গেছে। প্রয়োজনে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক শক্তি প্রয়োগ করবে।
তবে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের চড়া সুর নরম হয়েছে। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের টিলারসন সাংবাদিকদের জানান, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশই গত দুই দশক ধরে উত্তর কোরিয়ার অস্ত্র কর্মসূচির হুমকি কমিয়ে আনতে পারছে না। তিনি বলেন, আমাদের একটি সাধারণ উদ্দেশ্য ও সচেতনতা রয়েছে। পেনিনসুলা অঞ্চলে উত্তেজনা চরম অবস্থায় আছে এবং তা বিপজ্জনক উচ্চতায় পৌঁছাচ্ছে। যেকোনও সংঘাত এড়াতে আমরা (চীন-যুক্তরাষ্ট্র) সবকিছু করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি।’
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও আলোচনাকে স্পষ্ট, বাস্তবধর্মী ও সফল বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, যাই ঘটুক না কেন, শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কূটনৈতিক উপায়ে কাজ করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে খবর বেরিয়েছে। এর আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে উভয় দেশ বেশ কিছু একমত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর ফলেই উভয় দেশ উত্তর কোরিয়া নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে রাজি হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স।