গলাচিপা প্রতিনিধি ॥ গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর চরখালী গ্রামের জাকির হোসেন মধুর নামে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের ত্রানের ঘর বরাদ্দ করা হয়েছে।
তিনি নিজেকে এলাকার কোটিপতি হিসাবে দাবি করে আসছেন। পৈত্রিক জমিজমা ও ক্রয়করা ৫ একরেরও বেশি জমি জমা রয়েছে তার। বিশাল আকারের কয়েকটি পানের বরজও রয়েছে।
গরু রয়েছে ১৫ থেকে ২০টি। এদিকে তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম গোলখালী এলেমাবাদ দাখিল মাদ্রাসায় সহকারি মৌলভী কোটায় শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।
এ ধরনের একটি বিত্তবান পরিবার ত্রানের ঘর পাওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিন গিয়ে এলাকাবাসীর কাছ থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
ওই এলাকার মৃত আ. ছত্তার সিকদারের স্ত্রী শাহানারা বেগম, মৃত তাজেম আলী সিকদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম, রহিমউদ্দিন, মহিউদ্দিন, বিধবা সালেহা বেগম, রানী বেগম, মোতাহার বেড়িবাঁধে ঝুপড়ি তুলে বসবাস করছেন।
এরা ঝুপড়ি ঘরে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অথচ এদের ঝুপড়ির সামনেই গরীবদের জন্য সরকারের দেয়া সুশোভিত ঘর শোভা পাচ্ছে বিত্তবানদের দখলে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, এ পর্যন্ত গরীবদের আবাসন সুবিধার জন্য ৭২ টি ঘর তুলে দেয়া হয়েছে। কোন অনিয়ম হলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গলাচিপা সদর ইউপি সদস্য আতিকুর রহমান হিরন জানান, জাকির হোসনে মধু বিত্তবান। নিজেকে তিনি এলাকার কোটিপতি হিসাবে দাবি করেন।
সরকারি বিধি অনুযায়ী গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ঘর তাকে কিভাবে বরাদ্দ করা হয়েছে আমাদের তা জানা নেই। গলাচিপা ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাদী জানান, ধনী হয়েও মধু কিভাবে গৃহহীনদের আবাসন সুবিধার ঘর পেয়েছে তা আমার জানা নেই।
জাকির হোসন মধুর সাথে ০১৭৫৬-৬৩৯০৪৩ নম্বরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করা হলে তিনি বারবার রিসিভ না করে ফোন কেটে দেন।