কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসচেতনতা তৈরি করে আসছে নগরীর কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ। পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে থানার আওতাধীন বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রায় প্রতিদিনই অনুষ্ঠিত হচ্ছে সভা-সমাবেশ। এছাড়াও স্থানীয় পর্যায়ে সৃষ্ট নানাবিদ বিরোধ ও সালিশের সমাধানও হচ্ছে এ কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে। ফলে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের ফলে বরিশালে কমে আসছে অপরাধ প্রবনতা।
সূত্রমতে, পুলিশের বর্তমান আইজিপি জনগনের সাথে পুলিশের সেতুবন্ধন তৈরি করতে কমিউনিটি পুলিশকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সারাদেশে কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি নিজে বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। তারই ধারাবাহিকতায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে কোতোয়ালী মডেল থানা এলাকায় কমিউনিটি পুলিশকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন ওসি শাহ মোঃ আওলাদ হোসেন পিপিএম। ইতোমধ্যে নগরীর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার সামাজিক ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে গঠিত হয়েছে এই কমিটি। বরিশালের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাদা মনের মানুষ শিল্পপতি বিজয় কৃষ্ণ দে কে আহবায়ক এবং সমাজসেবক ও আওয়ামীলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুনকে সদস্য সচিব করে গঠিত হয়েছে কোতোয়ালী মডেল থানা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটি। ইতোমধ্যে কমিউনিটি পুলিশের উদ্যোগে ১০টি এলাকায় বড় পরিসরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলমান রয়েছে অনান্য ওয়ার্ডের কার্যক্রমও।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, কমিউনিটি পুলিশের মাধ্যমে সামাজিক অপরাধ ও বিশৃঙ্খলা জনিত সমস্যাসমূহ চিহ্নিত করে সমাধানমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ, সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে জনগণকে সংগঠিত করা, জনগনের প্রতিভা মেধা ও ক্ষমতাকে কাজে লাগানো এবং আইন প্রয়োগে জনগণকে অংশগ্রহণ করানোর পাশাপাশি সমাজে অপরাধ প্রবণতা, চোরাচালান, মাদকের অপব্যবহার, নাশকতা ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশকে প্রদান করাই হচ্ছে কমিউনিটি পুলিশের মূল কাজ। পাশাপাশি সমাজের দুর্বল শ্রেণী যথা-নারী, শিশু, বৃদ্ধ সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী ও অসহায়দের স্বার্থ রক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে আসছে এ কমিটির সদস্যরা। ফলে মহানগর এলাকায় কমে আসছে অপরাধ প্রবনতা।