পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, ‘নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। দুঃখজনক হলো গরিব মানুষদের উচ্ছেদে সমস্যা হয় না, সমস্যা হয় বিত্তশালীদের ক্ষেত্রে।
তারা লিজ নিয়েই বাড়ি তৈরি করে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পরে লিজ দেয়া বন্ধ করেছি। আমি কোনো জমি লিজ দিই না। শুধু কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন ছাড়া অন্য কোনো কাজে নদী পাড়ের জমি লিজ দেয়া হবে না।
বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে পরিবেশবাদী সংগঠন নোঙর আয়োজিত ‘নদী রক্ষায় প্রয়োজন সঠিক নিয়মে নদী খনন’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
নদীভাঙন প্রসঙ্গে বরিশালের এই সাংসদ আরও বলেন, ‘আমি নদীভাঙন এলাকার লোক। ভাঙন এলাকার মানুষের কষ্ট আমি জানি। প্রধানমন্ত্রীও আমাদের কষ্ট অনুভব করেন।
তার নির্দেশনায় নদীশাসনের জন্য ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর প্রশস্ততা কমিয়ে পানি ধারণক্ষমতা বাড়াতে প্রকল্প নিচ্ছে সরকার। নদীর দুই পাড়ে জমি পুনরুদ্ধার করে কৃষিকাজে ব্যবহৃত হবে।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। আমি মনে করি, কৃষিজমি রক্ষায় এখনই ক্লাস্টার ভিলেজ নির্মাণে সরকারের কাজ করা উচিত।
নদী সুরক্ষায় জনগণের সহযোগিতা কামনা করে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রায় ৩০০ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে সব জায়গায় স্থানীয়দের বলেছি আপনারা অবৈধভাবে কাউকে বালু উত্তোলন করতে দেবেন না।
প্রয়োজনে প্রশাসনের সহযোগিতা নেবেন। যেনতেনভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে সব জেলা প্রশাসকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সুমন শামসের সঞ্চালনায় ও সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার,
পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক এ এম আমিনুল হক, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সদস্য সচিব মিহির বিশ্বাস, আই ডব্লিউ এম-এর সিনিয়র মোরফোলজিস্ট আব্দুস সালাম শিকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।