‘অপরাজনীতি থেকে ফিরে না এলে আগুনের লেলিহান শিখায় বিএনপির রাজনীতির অপমৃত্যু ঘটবে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সদ্য প্রয়াত নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক মফিজ উল্লাহর স্মরণে সোমবার (১৬ নভেম্বর) আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্মরণসভায় যুক্ত হন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলন ও নির্বাচনে একের পর এক ব্যর্থ হয়ে জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে আবারও আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তারা নির্লজ্জভাবে বলে বেড়ায় যে, তারা নাকি আগুন সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নয়। দেশের মানুষ জানে, এ দেশে পেট্রল বোমা আর আগুন সন্ত্রাসের জনক হচ্ছে বিএনপি।’
কাদের বলেন, ‘গানপাউডার দিয়ে মানুষ পোড়ানো বিএনপির অপরাজনীতির ধারাবাহিকতা। ২০১৩-১৪ সালের আগুন সন্ত্রাস তার প্রমাণ। দেশের শান্তি ও স্বস্তি নষ্ট করে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে বিএনপি গুজব, অপপ্রচার আর আগুন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। জনবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের অর্থের উৎসেরও সন্ধান করা হচ্ছে, যারা অর্থ জোগান দিচ্ছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জনগণ ও রাষ্ট্রের সম্পদ এবং মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে আর দেয়া হবে না। যারা নির্বাচনে এজেন্ট দিতে পারে না, তারা নির্বাচনে হেরে প্রতিবাদ করাটা লজ্জা ছাড়া আর কিছু নয়।’
নোয়াখালীর বিভিন্ন উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদার দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যেই সড়ক যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে গ্রহণ করা নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ফেনী-চৌমুহনী-সোনাপুর সড়কের চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলমান আছে এবং চৌমুহনী থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত চারলেনের সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।’
কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমির সভাপতিত্বে স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন- নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এবং কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হানসহ নেতৃবৃন্দ।