ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচন চলাকালেই রাজধানীর অন্তত ৯ স্থানে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও সহিংসতার উদ্দেশেই সরকারি বাস ও রাস্তায় চলাচল করা গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে মনে করছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ইতোমধ্যে ককটেলসহ রাজধানীর তুরাগে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ক্রাইম কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টারের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পল্টন থানাধীন বিএনপি পার্টি অফিসের উত্তর পাশে কর অঞ্চল ১৫-তে পার্কিং করা সরকারি গাড়িতে (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৪৭৪) অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
দুপুর ১টার দিকে মতিঝিল থানাধীন মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে অগ্রণী ব্যাংকের স্টাফ বাস (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-৭৫১৫), ১টা ২৫ মিনিটে রমনা হোটেলের সামনে চলন্ত গাড়ি (ঢাকা-মেট্রো-গ-১৫-০৫৮৯) ভিক্টর ক্লাসিক পরিবহনে, শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে দেড়টার দিকে দেওয়ান পরিবহনে (ঢাকা-মেট্রো-ঘ-১৩-১৫৭২), ২টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ সচিবালয়ের উত্তর পাশে রজনীগন্ধা পরিবহন (ঢাকা-মেট্রো-ব-১২-০৬৪৪) এবং বংশাল থানাধীন নয়াবাজার এলাকায় দুপুর ২টা ২৫ মিনিটে দিশারী পরিবহনে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১- ৯২৫৫) আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে।
দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে পল্টন থানাধীন এলাকায় জৈনপুরী পরিবহন (চট্ট-মেট্রো-জ-১১-০৭১৮), ৩টায় মতিঝিল থানাধীন পূবালী পেট্রল পাম্প সংলগ্ন দোতলা বিআরটিসি বাসে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৫০০১), ভাটারা থানাধীন কোকাকোলা মোড়ে ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহনে (ঢাকা-মেট্রো-ব-১৫-৫৩২৫) দুষ্কৃতকারীরা আগুন দেয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রচেষ্টায় এসব বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বেশিরভাগ গাড়ির অধিকাংশ পুড়ে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে থানা পুলিশের মোবাইল টিম এবং সিনিয়র অফিসাররা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের ডিউটি অফিসার মো. রাসেল শিকদার বলেন, ‘রাজধানীর পৃথক স্থানে সাতটি বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস। সাতটি স্থানেই মোট সাতটি ইউনিট পাঠিয়ে আগুন নির্বাপণ করা হয়। তবে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুন কে বা কারা দিয়েছে তা জানতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।’
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সহিংসতার উদ্দেশেই পার্কিং করা সরকারি যানবাহনে এবং রাস্তায় চলমান গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ করা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকারি যানবাহন ও রাস্তায় চলাচল করা গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে পুলিশ। যে বা যারা এ কাজটি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’