শামীম আহমেদ, ॥ বরিশালে গত কয়েকদিন ধরে আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। রাত শেষে ভোরে আলোর ফুটলেও কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে চারপাশ। একটু বাতাস বইলেই কেপে উঠছে শরীর। আর তাতে বুঝা যায় দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। আর শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় কারিগররা। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাসে শীতের জন্ম হলেও পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীত মৌসুম হিসাবে বিবেচিত হয়।
বরিশাল নগরীর বাসিন্দারা শীত মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি হিসাবে হিড়িক পরে গেছে লেপ-তোষক বানানোর দোকানে। অনেক পরিবারের লোকজন তাদের বাস্কে ভর্তি রাখা লেপ-তোষক বের করে মেরামত করছে।
কারিগররা বলছেন, কিছুদিন পরে ক্রেতাদের ভিড় আরো বাড়বে। ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীত জুড়ে। এদিকে ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে শীতের পুরাতন কাপড় বিক্রি করতে দেখা গেছে। যাদের লেপ-তোষক কেনা বা বানানোর টাকা নেই তারা ভিড় জমাচ্ছে ওইসব দোকানে। সেখানে দেড়শ থেকে দুইশ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ভালো মানের পুরানো কাপড়। কেউ আবার অল্প টাকায় পাতলা কম্বলও ক্রয় করছেন।
সরেজমিনে নগরীর পদ্মাবতী রোড, মহসীন মার্কেট, বাজার রোড, সাগরদী, চৌমাথা, নতুন বাজার, নবগ্রাম রোড, বাংলাবাজার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, লেপ-তোষকের দোকানের সবকটিতেই ছিল কারিগরদের লেপ বানানোর ব্যস্ততা। দোকানিরাও অর্ডার গ্রহণ এবং ক্রেতাদের বিভিন্ন রঙ-মানের কাপড় ও তুলা দেখাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। একই দৃশ্য চোখে পড়ে বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে।
পদ্মাবতী রোডের লেপ-তোষক ব্যবসায়ী মো. আরিফুর রহমান জানান, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোষক তৈরির খরচ। এ বছর জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই লেপ-তোষক তৈরিতে খরচ দুইশ থেকে তিনশ টাকা বেড়ে গেছে। আর একটি লেপ/তোষক বিক্রি করে তাদের তিনশ থেকে পাঁচশ টাকা লাভ হয়।