সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার নিয়ে কটুক্তি এবং সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালানোর অভিযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী মোঃ খালিদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেয়া হয়েছে। রোববার তাকে শোকজ নোটিশ দেয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে খালিদ হাসানকে।
এছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার সন্ধ্যায় এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.সুব্রত কুমার দাশ।
প্রক্টর জানান, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে শোকজের জবাব দিতে হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. খোরশেদ আলমকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি অভিযোগের তদন্ত করবেন। কমিটির অপর দুজন হচ্ছেন- কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোঃ মনজুর আহমেদ এবং আইন বিভাগের শিক্ষক সুপ্রভাত হালদার। তারা আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবার এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে নানা কটুক্তি মূলক প্রচারনা চালানোর অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার খালিদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খালিদ হাসান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার এবং দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটুক্তিমূলক বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।
এছাড়া সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক নানা মতামত প্রচার করে আসছিলেন তিনি। বিষয়গুলো বিগত কয়েকমাস যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নজরে আসে। অভিযুক্ত খালিদ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মী এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী।