ময়মনসিংহ-৭ আসন আসনের সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর ছেলে এবং ত্রিশাল ছাত্রলীগের সভাপতি হাসানের বিরুদ্ধে পুলিশে চাকরি দেয়ার নাম করে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী আবুল কালাম শেখ এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর অভিযোগ করেছেন। ২৯ অক্টোবর এ অভিযোগটি আইজিপি কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে জমা দেয়া হয়েছে। যার নম্বর: ১৫৩৬ (২৯-১০-২০)।
অভিযোগের বিবরণ থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহ ৭ আসন (ত্রিশাল)’র এর সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী, তার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদ, তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ আনেন আবুল কালাম শেখ। ২০১৯ সালে আবুল কালাম শেখ তার পরিচিত তোফাজ্জল যিনি এমপি এবং তার ছেলের ব্যক্তিগত কাজ করেন, তার মাধ্যমে পুলিশে চাকরির জন্য জমি বিক্রি করে এবং সুদের ওপর টাকা এনে মোট ১৪ লাখ টাকা দেন। এ পুরো টাকাই তোফাজ্জলের মাধ্যমে এমপিপুত্র হাসান মাহমুদের হাতে গিয়েছে।
টাকা লেনদেনের সময় সাক্ষী হিসাবেও শরীফুল ইসলাম নামের একজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এই শরীফুল ইসলামের কাছ থেকেও পুলিশের উপ পরিদর্শক পদে চাকরি দিবে বলে এমপি পুত্র হাসান মোট ৩২ লাখ টাকার মধ্যে ২২ লাখ টাকা নিয়েছেন। চাকরি না পাওয়ার পর শরীফুল টাকা ফেরত চাইলে সে টাকা দেয়া হয়নি। উল্টো হুমকি দেয়া হয়। ফলে ত্রিশাল থানায় এ বছরের ১১ জুলাই একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। যার নম্বর ৬১৪ (১১-০৭-২০)।
এদিকে, এমপি পুত্র এবং ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মাহমুদের সঙ্গে আবুল কালম শেখ এবং শরিফুলেরর টাকা লেনদেনের কথপোকথনের অডিও এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। সেখানে টাকা নেয়ার কথাও স্বীকার করেছেন হাসান মাহমুদ। পুলিশের মহাপরিদর্শক বরবার অভিযোগ পত্রে আবুল কালম শেখ এমপি পুত্র হাসান কর্তৃক নানা ধরণের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন বলেও জানান।
এসব অভিযোগের বিষয়ে এমপি পুত্র হাসান মাহমুদকে ১ টা ৯ মিনিট থেকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, হাফেজ রুহুল আমিন মাদানীর পুত্র হাসান মাহমুদ ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হলেও তিনি ব্যক্তিজীবনে বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারি থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে।
চাকরির নামে এমপি পুত্র হাসানের টাকা আত্নসাৎ, আইজিপির কাছে অভিযোগ
(Visited ৩ times, ১ visits today)