সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ভারতে পাচারকালে সাতক্ষীরার কলারোয়া সীমান্ত থেকে চট্রগামের তিন তরুণীকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় জনতা। এ সময় তারা ৫ পাচারকারীকে আটক করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার দমদম বাজার থেকে তরুণীদের উদ্ধার ও পাচারকারীদের আটক করা হয়।
পাচারকারীরা হলেন- নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলাইপুর গ্রামের গোলাম কবিরের ছেলে সাকেরুল ইসলাম ওরফে ইকবাল (৩২), নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার বরুদি গ্রামের মোস্তাফা কামালের ছেলে মাহমুদুল হাসান সুমন (২৫), ঢাকার শাহাবাগ এলাকার আক্তারি কামালের ছেলে হাবিবুল্লাহ (২২), শরিয়তপুর জেলার ডামুরডা থানার কানাইকাটি গ্রামের লালচান মিয়ার ছেলে আক্কাচ আলি বাবু (২৮) ও একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৫)।
উদ্ধার হওয়া তিন তরুণী হলেন, চট্রগামের সিএমপির বায়োজিদ থানার নাহিদা বেগম (২২) সুমি বেগম (১৯) ও আরজু আকতার (১৮)।
উদ্ধার হওয়া তরুণী নাহিদা বেগম জানান, তারা তিন জন কম বেতনে ঢাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। দুই মাস আগে পাচারকারী সাকেরুল কবির ওরফে ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান ওরফে সুমনের সাথে পরিচয় হয় তাদের। পরিচয়ের সূত্র ধরে দুই পাচারকারী তাদের তিন জনকে ওমানে নিয়ে বেশি বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। একপর্যায়ে গত ১৫ মার্চ রাতে তাদের যশোর আসতে বলা হয়। পরে পাচারকারীরা তাদের সেখান থেকে বৃহস্পতিবার কলারোয়া সীমান্ত এলাকায় নিয়ে যায়। যশোর থেকে তাদের বিমানে না পাঠিয়ে উক্ত পাচারকারীরা ওই তিন তরুণীকে সীমান্ত এলাকায় আনলে বিষয়টি নিয়ে তাদের সন্দেহ হয়।
পথিমধ্যে উপজেলার দমদম বাজারে পৌঁছালে তাদের চিৎকারে স্থানীয় জনতা তাদেরকে উদ্ধার করেন। একই সাথে ওই ৫ পাচারকারীকে আটক করে কলারোয়া থানা পুলিশের কাছে সোপার্দ করেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক শেখ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে পাচারের শিকার নাহিদা বেগম বাদি হয়ে কলারোয়া থানায় এমটি মামলা দায়ের করেছেন। পাচারের শিকার ওই তিন তরুণীর অভিাবকদের খবর পাঠানো হয়েছে। তারা আসার পর তরুণীদের তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।