বুধবার(২১অক্টোবর)বিকেলে বরিশালের বিভিন্ন নদীতে অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে জেলে শূন্য নদীদেখে সন্তুষ্ট হয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।
এ সময় বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অমিতাভ সরকার বলেন,বিভিন্ন সময়ে সরকারী বিভিন্ন নির্দেশনা দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির জন্য।
সরকারের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আমরা জেলে,সাধারন মানুষ সহ সবাইকে সচেতন করছি।এর সুফল হিসেবে নিষেধাজ্ঞার সময়ে নদীতে জেলেরা মাছ শিকার করছেনা।
সরকার জেলেদের কথা চিন্তা করে বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮২ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জেলেদের বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনা ও সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম,পিপিএম বার বলেছেন, ইলিশ আহরনের নিষেধাজ্ঞা সুফল বয়ে আনছে।
বিগত সময়ের থেকে ইলিশের আকার ও উৎপাদন দুটোই বৃদ্ধি পাচ্ছে।এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিয়ে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা করা হবে।
এ সময় তিনি আরও বলেন,নদীতে মাছ ধরার ঘটনা ঘটছেনা এমন নয়। তবে মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার সময়ে বেশীর ভাগ জেলে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকছেন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা মাছ ধরছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী।
বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন,গতবছর বরিশাল বিভাগ থেকে ৩লাখ ৪১ হাজার মেট্রিকটন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এবছর ৪ লাখ মেট্রিকটন ইলিশ উৎপাদনের আশা করছি।
এই অভিযানের মুলউদ্দেশ্য হচ্ছে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করা।সরকারী নিয়ম মেনে নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকলে দেশের নদ নদীতে ইলিশের সংকট থাকবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাইদ,মৎস্য কর্মকর্তা (হিলশা)বিমল চন্দ্র দাশ,বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজির ষ্টাফ অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার সালমান হাসান, বরিশাল সদর নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোষ্টগার্ডের চীফ পিটি অফিসার এম রুহুল আমিন ও নৌবাহিনির সদস্যরা।