বরগুনায় পুলিশের চাকরিতে জালিয়াতি মামলায় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
জানা যায়, বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রইসুল আলম রিপন ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবু পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরি দেওয়ার নামে জালিয়াতি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২০ আক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ জালিয়াতি মামলায় তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৭ সালে বরগুনায় পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থী হয়ে আবেদন করেন পৌর সুপার মার্কেটের এক কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ মজিবুর রহমানের ছেলে রাজু। নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রাজুর পরিবর্তে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবু।
গত ২০১৭ সালে ১১ এপ্রিল এঘটনায় বরগুনা সদর থানায় কর্মরত সহকারী উপ -পরিদর্শক (এএসআই) শামিম রেজা একটি মামলা দায়ের করেন। পরে এই মামলা তদন্তের সময় জালিয়াতির টাকা চেকের মাধ্যমে পরিশোধের তথ্যও পায় পুলিশ।
পরে বরগুনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রইসুল আলম রিপন এর কাছে জমা থাকা জালিয়াতির পাঁচ লক্ষ টাকার একটি চেক জব্দ করে পুলিশ। এঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রইসুল আলম রিপন ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তৎকালীন সিআইডি ইন্সপেক্টর সিরাজুল ইসলাম।
আগাম জামিনে থাকা রইসুল আলম রিপন ও রেজওয়ানুল ইসলাম বাবুর জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় পুনরায় আদালতে হাজির হয়ে আবার জামিনের জন্যে আবেদন করেন। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন এবং একই সঙ্গে এই মামলাটি বিচারের জন্যে প্রস্তুত করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াছিন আরাফাত এর আদালতে পাঠান।
এবিষয়ে আসামী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. এম মজিবুল হক কিসলু বলেন, এ মামলায় আসামীরা সম্পূর্ণ নির্দোষ। পুলিশ অন্যায়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। তাদের জামিনের জন্যে আমরা আবার আবেদন করবো।