পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বেগবান করা এবং শিক্ষার্থীদের পাঠক্রমে বেশি মাত্রায় সম্পৃক্ত করার জন্য উপাচার্যদের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়া শিক্ষার্থীদের বিনা সুদে স্মার্টফোন ও বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ প্রদানে ইউজিসির উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠকে এ আহ্বান জানানো হয়। কাজী শহীদুল্লাহ এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় ইউজিসির সদস্য ও দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সবাই একটি সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা চাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ বিষয়ে চূূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দরকার।
সভা সূত্রে জানা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে আগামী ১৭ অক্টোবর (শনিবার) বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভায় নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। তবে ইউজিসির চায়, ভর্তি পরীক্ষা যেন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনা করে এখনই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা মোটেও সমীচীন হবে না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের মতে, হল খোলা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে। কারণ, বিশ্বের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগমের সঞ্চালনায় সভায় কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহান, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আক্তার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদসহ ৪৬ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কমিশনের সচিব (অ.দ.) ড. ফেরদৌস জামান, জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।