স্বামী পরিত্যক্ত মধ্য বয়সী শেফালী বেগমের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালানো হয়েছে।
শেফালী বেগমের দুই পা রামদার কোপে এবং উল্টোপিঠ দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় বর্বর এ পাষন্ডের দল চাকু দিয়ে পায়ের ভাঙ্গা অংশে অসংখ্যবার কুপিয়ে কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করে দেয়।
অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণে এখন চরম শঙ্কায় পড়েছেনে শেফালী বেগম। মাকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীদের বেধড়ক পিটুনিতে গুরুতর জখম হয়েছে ছেলে আল আমিন (৩৫) ও ছেলে বউ পারভিন (২৫)।
শেফালী বেগম আর কখনও দুই পা দিয়ে দাড়াতে পারবে কী না তা নিয়ে চরম অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছে।
বাড়ি থেকে চলাচলের পথের সীমানার বিরোধ নিয়ে নিকটাত্মীয় পাষন্ড স্থানীয় সন্ত্রাসী মোবারক ফকির, কাশেম ফকির, বাবুল ফকির, নাসির ফকির ও মিরাজসহ ১০/১২ জনে ঘন্টাব্যাপী এ মহিলার ওপর হায়েনার মতো হামলে পড়ে। বর্বর নির্যাতন চালায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের মোস্তফাপুর (খলিলপুর) গ্রামে এমন নির্দয় নৃশংসতায় মানুষ হতবাক বনে গেছে।
চিকিৎসার জন্য তিনজনকেই রাতে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শেফালিকে জরুরি চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
এ মহিলার আর্তচিৎকারে হাসপাতালের পরিবেশ পর্যন্ত ভারি হয়ে উঠেছে। ঢাকায় ইট ভেঙ্গে জীবিকা চলতো শেফালীর।
করোনার কারনে দীর্ঘ দেড় যুগ পরে বাড়িতে ফিরে পৈত্রিক ভিটায় ঘর তোলেন। কিন্তু চলাচলের রাস্তার জন্য প্রতিপক্ষরা জায়গা দিচ্ছিলেন না।
এ নিয়ে সালিশ হয়। সালিশে চারফুট প্রশস্থ রাস্তার পথ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু তা মানেনি প্রতিপক্ষরা।
যার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় শেফালী বেগমের ওপর হামলা চালিয়ে দুই পা ভেঙ্গে চাকু দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে অচল করে দেয়।
চিকিৎসক মো. মাহমুুদুর রহমান জানান, শেফালির অবস্থা খুবই শঙ্কাজনক। পা অসংখ্য স্পটে ভেঙ্গে গুড়িয়ে গেছে। চাকুর অসংখ্য কোপে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে।
কলাপাড়া থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তারপরও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।