চট্টগ্রাম অফিস : পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও বর্ণির মধ্যে পরকীয়ার জেরে পুলিশ কর্মকর্তা আকরাম হোসেনকে সড়ক দুর্ঘটনার নামে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আকরামের পরিবার। আকরামের বোন জান্নাত আরা পারভীন রিনি এবং ভাগ্নি মুর্শিদা জাহান ডলি বুধবার (১৫ মার্চ) চট্টগ্রাম ডিবি পুলিশের কাছে এ অভিযোগ করেন।
পুলিশের বিশেষ শাখার উপ-পরিদর্শক আকরাম হোসেনের স্ত্রী ছিলেন বর্ণি। ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ থেকে ঢাকায় যাওয়ার পথে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার বড়দাহ নামক স্থানে মহাসড়কে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন আকরাম। আহত অবস্থায় প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে ফরিদপুর ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি আকরাম মারা যান। আকরাম হোসেন সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার পুলিশ বাহিনী থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর আকরামের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, আকরামের স্ত্রী বর্ণির সঙ্গে বাবুলের পরকীয়ার সম্পর্কের জের ধরেই আকরামকে সড়ক দুর্ঘটনার নামে ‘পরিকল্পিতভাবে হত্যা’ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ তুলে ঝিনাইদহে আকরামের পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়েছিল।
বুধবার (১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আকরামের বোন ও ভাগ্নি লালদীঘিতে নগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে এসে বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মো. কামরুজ্জামানের সাথে দেখা করে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।
তারা বাবুল এবং বর্ণির পরকীয়া ঘটনা এবং সড়ক দুর্ঘটনার মাধ্যমে এস আই আকরামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জান্নাত আরা পারভীন রিনি ও ভাগ্নি মুর্শিদা জাহান ডলি ডিবি কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন।
বিষয়টি স্বীকার করে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘তারা নিজেরাই বাবুলের বিরুদ্ধে কথা বলতে আমার কাছে এসেছে। আমি তাদের ডাকিনি।’