মিথ্যা তথ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর ৮ মাস এমপিও ভোগ করেছেন নীলফামারী জলঢাকা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। প্রতিষ্ঠানটিতে ২য় শিফটে ক্লাস পরিচালনার অনুমতি নিলেও বাস্তবে এ শিফটে কোনো ক্লাস পরিচালনা করা হয়নি। কিন্তু ১৪ বছর ৮ মাস ২য় শিফটের এমপিও হয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষসহ ১২ জন শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিল করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।
গতকাল সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) অধিদপ্তর থেকে এ ১২ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিও বাতিল করে আদেশে জারি করা হয়েছে।
এমপিও বাতিল হওয়া শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছেন- অধ্যক্ষ আবেদ আলী, প্রভাষক সাজেদুর রহমান, জাহিদ ইকবাল, ধনপতি রায়, নূরে আলম সিদ্দিকী, মোসলেম উদ্দিন, আবদুল করিম, প্রদর্শক মসিউর রহমান, কর্মচারী ফিরোজা আক্তার, আজিজুল ইসলাম, জেসমিন আক্তার এবং ডালিমুজ্জামান।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৪ বছর ৮ মাস এমপিও ভোগ করেছে নীলফামারী জলঢাকা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীরা। বিষয়টি তদন্তে ধরা পড়েছে। গত ১৯ আগস্ট কারিগরি মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ থেকে এ ১২ শিক্ষক কর্মচারীর এমপিও বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে তাদের এমপিও বাতিল করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জলঢাকা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের অধ্যক্ষ আবেদ আলী বলেন, উচ্চ আদালতে বেতন-ভাতা বহাল রাখার দাবিতে মামলা করেছিলাম। দেড় বছর আগে কারিগরি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর তদন্তে এসে মামলা প্রত্যাহার করলে এমপিও’র বিষয়টি বিবেচনা করা হবে মর্মে আদালত থেকে মামলা প্রত্যাহার করা হলে সোমবার বিকেলে ১২ জনের এমপিও বাতিল করা হয় মর্মে স্বীকার করেন।