বরিশাল নগরীতে বিসিসি’র নিয়ম বহিঃভূত ভবন নির্মান কাজে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগে মারধর করে টাকা ও মটর সাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।
বরিশাল সিটি কপোরেশনের প্লান ছাড়াই ভবন র্নিমান করার পায়তারা চালায় ওই পুলিশ সদস্য এমন অভিযোগ এনে শনিবার দুপুর ১২টায় বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, হামলার স্বিকার নগরীর সিএন্ডবি রোড ২২নং ওয়ার্ড মাতৃছায়া সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা সুলতান আহমেদ এর ছেলে মোঃ শামীম আহম্মেদ।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মোঃ শামীম আহম্মেদ অভিযোগ করেন, খুলনা বিভাগে কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তা একই এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন ২০১৪ সালে বরিশাল সিটি কপোরেশনের প্লান ছারাই ভবন র্নিমান কাজ শুরু করে। এতে কামাল বিসিসি’র কোন নিয়ম নীতি অনুসরন করেনি।
এর মধ্যে তারা মোঃ শামীম আহম্মেদ এর মা জাহানারা বেগম এর ভবন ঘেষে ভবন র্নিমান ও তদের কাজের মালামাল রেখে কাজ শুরু করে।
এতে প্রথমি মৌখিক ভাবে বাঁধা প্রদান করলে পুলিশ কর্মকর্তা কামাল হোসেন তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী প্রদর্শন করে। উপায় না পেয়ে মোঃ শামীম আহম্মেদ এর মা জাহানারা বেগম বরিশাল সিটি কপোরেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পেক্ষিতে বরিশাল সিটি কপোরেশনের পক্ষ থেকে অনুমোদিত প্লান দেখাতে না পারায় সিটি কর্পোরেশন আইন ২০১০ এর ১৫৭ (৪) ধারা (তৃতীয় তফসিল ) মোতাবেক অপরাধ তার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশ কর্মকর্তা পুনরায় কাজ শুরু করে। তিনি বিসিসি’র প্লান না নিয়েই পুনরায় র্নিমিত ভবনের উপর পুনরায় ভবন র্নিমান কাজ শুরু করে ।
বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরে জাহানারা বেগম পুনরায় বরিশাল সিটি কপোরেশনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কামাল হোসেন ও তার ছেলে সামিউল এবং সন্ত্রাসী মতিউর রহমানকে নিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর নগরীর চৌমাথা এলাকায় বসে শামীম আহম্মেদের পথরোধ করে তার উপর হামলা চায়লায়।
এসময় শামীম আহম্দেকে মারধর করে তার সাথে থাকা ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, একটি পালসার মটর সাইকেল নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা শামীম কে উদ্ধার করে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল করেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনার দিনই শামীম বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ওই অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার এস আই রেজাউল শামীমকে বিষয়টি মিমাংশার কথা বলে। কিন্তু শামীম মিমায়শা না করে আইনের মাধ্যমে তদের সাস্তি’র দাবি জানান। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তার বিষয় হওয়ায় থানা থেকে তাদের কোন প্রকার সহযোগীতা করা হচ্ছেনা বলে দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ থানায় গেলে ওসি বিষয়টি দেখবেন বলে তাদের আসস্ত করেছেন।
এদিকে , থানায় অভিযোগ দায়ের ও সিটি কপোরেশনের অভিযোগ করা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা কামাল হোসেন বিভিন্ন ভাবে শামীম ও তার পরিবারকে হুমকী প্রদান করছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা। তারা বলছেন, পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় বিষয়টির সুষ্ঠ সমাধান নিয়েও আশংকা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেণ, আমরা মিমাংশা চাই না আইনের মাধ্যমে প্রকৃতঅপরাধীদের বিচার হোক ঐটাই আমমাদের প্রত্যাশা।
এবিষয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা কামাল হোসেনের ব্যবহৃত ফোন নম্বরে কল করা হলে তার ব্যবহৃত ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কোতয়ালী থানার এস এই ও অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউলের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান মটর সাইকেল চুরির ঐকটি অভিযোগ আছে। যেহেতু আমি বাইরে আছি থানায় না গিয়ে কিছুই বলতে পারবোনা।