পিরোজপুর প্রতিনিধি :: পিরোজপুর জেলার ৭ উপজেলায় ৮টি মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৯ কোটি ৫৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
জানা গেছে, পিরোজপুর সদর উপজেলায় ২টি, মঠবাড়িয়া উপজেলা সদরেনা,নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) ও ইন্দুরকানী ১টি করে দৃষ্টিনন্দন তিনতলা বিশিষ্ট প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ব্যয় করা হচ্ছে ১৩ কোটি ৪১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। জেলা সদরে একটি মডেল মসজিদ নির্মাণে বরাদ্দ রয়েছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ ৮১ হাজার টাকা। গণপূর্ত অধিদপ্তরের পিরোজপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় এ ভবন নির্মাণ করছে। জেলা সদরের বাইপাস সড়কে এ মডেল মসজিদ নির্মাণের স্থান ও দরপত্র চুড়ান্ত করে ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে এবং এরই মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। এ মসজিদটি হবে ৪ তলা বিশিষ্ট। এসব সকল মডেল মসজিদে ইসলাম ধর্মীয় বই পুস্তক এর লাইব্রেরী কক্ষ থাকবে। প্রতিটি মসজিদের নিচ তলার মেঝ হবে ১২ হাজার বর্গফুটের। ১ম ও ২য় তলার প্রতিটি মেঝ হবে ৭ হাজার ৮ শত বর্গফুটের এবং প্রতিটি মেঝে উঠা নামার জন্য ৩টি করে সিঁড়ি থাকবে। গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থাও থাকবে প্রতিটি মসজিদে।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী উজ্জল চন্দ্র বেপারী জানান, ২০২১-২২ অর্থ বছরে এ ৮টি মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ইতোমধ্যেই গড়ে ৮টি মসজিদের প্রায় ১০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্রুতগতিতে নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে।
মডেল মসজিদ নির্মান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম রেজাউল করিম এমপি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নির্মাণ করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে এ মডেল মসজিদে প্রতিদিন পুরুষ ও নারীর পৃথক ওজুখানা ও নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। ইসলাম ধর্মীয় বই পুস্তক, মৃতকে গোসল করানো কক্ষ এবং লাইব্রেরী ও রিসার্স সেন্টার, শিশু শিক্ষা, হজ্ব যাত্রীদের নিবন্ধন, ইমামদের প্রশিক্ষণ, ইমাম-মুয়াজ্জিনের আবাসন, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বিভিন্ন সুবিধাও থাকবে মডেল মসজিদগুলোতে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের জনবান্ধব এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে হাজার হাজার মানুষ উপকৃত হবে।”