বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করায় রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডেকেছে বাংলাদেশ। সকালে তাকে ডেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেনা মোতায়েনের ঘটনার কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দেয়া হয়।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে কী বলা হয়েছে; সেই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশি এক কর্মকর্তা বলেন, রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশে নতুন করে কয়েকশ’ সৈন্য মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। এতে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। সেই উদ্বেগের কথাই আমরা মিয়ানমারকে জানিয়ে রেখেছি।
তবে সীমান্তে মিয়ানমারের সেনা মোতায়েনের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি ওই কর্মকর্তা।
অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ সময়ে সীমান্তে সেনা সমাবেশে দুই দেশের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে বলে এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার সকাল থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে সীমান্তের নিউন ছুয়াং, মিন গা লার গি ও গার খু ইয়া পয়েন্টে দেশটির সৈন্যরা জড়ো হতে থাকে। মাছের ট্রলারের উপরের অংশে কাঠ বসিয়ে, নিচে সৈন্যদের থাকার জায়গা করে দিয়ে কৌশলে প্রায় হাজারখানেক সৈন্যকে তারা জড়ো করেছে। এর আগে ২০১৭ সালেও রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠানোর আগে এভাবে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ করে মিয়ানমার।
এর আগে বাংলাদেশের সীমানায় হেলিকপ্টার অনুপ্রবেশের ঘটনা, নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় মাইন পুতে রাখাসহ একাধিক ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বেশ কয়েকবার তলব করেছিলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবারই তার হাতে কড়া নোট পাঠিয়ে এসব ঘটনার প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ।