পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ২ কলেজ ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শাহাদাত বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনার পর থেকেই মাদকাসক্ত ওই বখাটে পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে,বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ওয়াজেদ আলী ডিগ্রি কলেজের ২ ছাত্রী নতুন ভর্তি হয়ে ২ বখাটে যুবকের প্রতারণার কবলে পরে ধর্ষনের শিকার হয়।প্রতারকচক্র অবৈধভাবে বিবাহিতা কলেজ ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার মিঠাখালী এলাকায় নিয়ে কৌশলে বিক্রি করে দেয়।পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কৌশলে দুর্বৃত্তদের নিকট বিক্রি করে দিয়ে ভুয়া কলেজ ছাত্র প্রতারকচক্রের মূল হোতা ও মূল পরিকল্পনাকারী শাহাদাত ঘটনাস্থল থেকেই পালিয়ে যায়।
ভিকটিম লাবনীকে এক সময় উত্ত্যক্ত করত শাহাদাত। এতে অভিভাবকরা ওই ছাত্রীকে নিরাপদ করতে অন্যত্র বিবাহ দেন। আর এর পর থেকেই পরিকল্পিতভাবে ফাঁদে ফেলানোর ছক আঁকতে থাকে ওই বখাটে যুবক।
ওই কলেজের ছাত্র না হয়েও সহপাঠী পরিচয় দিয়ে সোহাগ নামে আরেক কলেজ ছাত্রকে সাথে নেয় সে।১২০০ টাকায় পূর্ব নির্ধারিত জায়গায় যাওয়া আসার কথা বলে ঠিক করা হয় একটি ইজিবাইক।লাবনী একা যেতে নারাজ।সাথে নেয় রোজিনা নামে আরেক সহপাঠীকে।
১২০০ টাকা ভাড়ায় ড্রাইভার আনন্দে পোয়াবারো। কিন্তু সামনে যে দুর্বৃত্তরা পথ চেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে তা হয়তো জানা ছিল না তার।
ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর ১ কি.মি. আগে গাড়ি থামিয়ে গাড়িতে থাকা সবাইকে হালকা নাস্তা পানি খেয়ে ফ্রেশ হয়ে নিতে বলে সাথে থাকা ঘটনার মূল নায়ক।দুর্বৃত্তরা ওদিকে প্রস্তুত বিধায় দ্রæত গাড়িতে উঠে খেতে বলে সে।ঘটনাস্থলে যেতে না যেতেই ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা গতিরোধ করে গাড়িটির।
ঘটনাস্থলে ওৎ পেতে থাকা মাদকাসক্ত দুর্বৃত্তরা পরিকল্পনাকারী সহ গাড়িতে থাকাদের ওপর নাটকীয় তান্ডব চালিয়ে ওই ২ ছাত্রীকে একটি ঘরে নিয়ে নিরাপদ রাখার কথা বলে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার করে এ ঘটনায় ৪ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করে (নং-১৭/৩৪০)।
ভিকটিমদের পরিবারের লোকজন জানান,মূল পরিকল্পনাকারী আসামি না হলে সুষ্ঠু বিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হব। শাহাদাত ও সোহাগকে এ মামলার সাক্ষী থেকে বাদ দিয়ে আসামি করার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার ওসি মাসুদুজ্জামান এর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।