রিপোর্ট ঃনিউস ডেস্ক.
ঢাবি ক্যাম্পাসে আসবেন, চোখ বুজে খাবেন! <3
চলুন দেখি ঢাবির কোথায় কোন খাবার পাওয়া যায়! ☕️️
ঢাবি ক্যাম্পাসের রয়েছে গৌরবময় হাজারও ঐতিহ্য, রয়েছে তারুণ্য আর অর্জনের অম্লান ইতিহাস। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে হরেক রকম মজার মজার খাবার। স্বল্পমূল্যে এই রকম মজার খাবার ঢাবি ছাড়া ঢাকার আর কোথাও পাওয়া অনেকটাই দুষ্কর। পড়ার ফাঁকে মেধাবীদের পেট আর মনের ক্ষুধা নিবারণের জন্য ক্যাম্পাসে খাবারের ভাণ্ডার অফুরন্ত। তারুণ্যের জয়গান আর খাবারের গন্ধ দুটোই যেন ক্যাম্পাসকে প্রাণবন্ত করে রাখে।
ঢাবি ক্যাম্পাসে ঠিক কী কী খাবার আছে তা বলতে গেলে একদিকে যেমন জিভে জল চলে আসে অন্য দিকে লম্বা এই তালিকা শেষে করতে গলা শুকিয়ে যাবার উপক্রম হয়। অনেক ভোজন রসিকেরই জানার আগ্রহ থাকে ঠিক কোথায় গেলে কি পাওয়া যাবে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত আমাদের সকলের প্রিয় এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে!
তাহলে এবার চলুন দেখি ঢাবির কোথায় কোন খাবার পাওয়া যায়?
● জাতীয় জাদুঘরের সামনে ঝালমুড়ি।
● কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর মাজার এর সামনে ১০ টাকায় চিকেন।
● কেন্দ্রীয় মসজিদ/ কলা ভবনের পাশে আমলকি, জাম্বুরা, পেয়ারা, কাঁচা আম, কলা ইত্যাদির ভর্তা। [লিখতে গিয়েই জিভে পানি চলে এলো! 😛 ]
● বিজনেস ফ্যাকাল্টির সামনে স্ট্রবেরির ভর্তা, ঝালমুড়ি, ছোলা বুট।
● চারুকলার ফ্রায়েড চিকেন।
● মধুর ক্যান্টিনের ছানা, রসগোল্লা, বাটার ব্রেড।
● ডাকসু ক্যাফেটেরিয়ার ভেলপুরি, ফুচকা, খিচুড়ি।
● সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনের দোকানের মাশরুম চপ, পাকোড়া।
● ক্যাম্পাস শ্যাডোর লুচি ডাল, পাটি সাপ্টা পিঠা, স্যান্ডউইচ, ডিম খিচুড়ি, লেবুর সরবত ।
● সূর্যসেন হলের পরোটা/রুটি, ডিম, ভাজি।
● IER ক্যানটিনের পরোটা।
● IBA ক্যান্টিনের পরোটা, খিচুড়ি।
● ডাঃ মিলন চত্বরের ( একদম কোনে) দোকানটায় খিচুড়ি।
● সেন্ট্রাল লাইব্রেরির গেইটের পাশে (ভাষা ইন্সটিটিউটের গেটের পাশে) হাকিম চত্বরের দোকানের চিংড়ি চপ, সবজি পাকোড়া, সমুচা, চিকেন স্যুপ।
● টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ার ১ টাকার লেবুর চা। সহজে স্মৃতির পাতা থেকে হারিয়ে যাবে না।
● TSC’র প্যাটিস, লবঙ্গ চা, মরিচ চা, মালটোভা/ওভালটিন চা। (বৃটিশরা আমাদের চা খাওয়া শিখিয়েছে বলে গর্ব করতে পারে কিন্তু আমাদের ঢাকা ভার্সিটির আবিস্কৃত তেঁতুল-মরিচ চা মনে হয় বিশ্বে প্রথম)।
● জগন্নাথ হলের ডিম-বান।
● INFS (পুষ্টি ইন্সটিটিউট) এর পিছনের ক্যান্টিনের পুরি; কেউ কেউ বললেন পরোটা-ভাজি।
● মেডিকেলের সামনে নেসক্যাফে ক্যাফের চিংড়ি চপ, খিচুড়ি, সমুচা।
● মোগলাই, নুডলস, কফি, মোরগপোলাও (বেশ ভাল)-এর জন্য ঢুঁ মারতে পারেন এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবনের ক্যান্টিনে।
● কার্জনের “সেলিম-মন্টু”-র চা।
● শাহনেওয়াজ হলের সামনের মিক্স ঝালমুড়ি আর চিতই পিঠা।
● হাতে যদি একটু বেশি পয়সা আর সময় থাকে তবে যেতে পারেন বিজনেজ ফ্যাকাল্টির ফুড কোর্টে, দেশি বা চাইনিজ সবই পাবেন। ফালুদা, লাচ্ছি সহ অনেক মজাদার খাবার পাবেন ওখানে একেবারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থায়।
— এছাড়াও শীতকালে বিভিন্ন পিঠা আর গরমে সরবত তো আছেই।
কৃতজ্ঞতা: তথ্য সংগ্রহের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেইসবুক পাতা এবং ভোজনরসিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
লেখা এবং সম্পাদনাঃ এসএম সারওয়ার জাহান নান্নু এবং মাসুদ হাসান।