শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে নমুনা পরীক্ষা হ্রাস পেয়েছে বলে মনে করছেন দায়িত্বশীল মহল। রোববার দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৬। তবে এসময়ে ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠীতে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য বাড়লেও বরিশাল ও পটুয়াখালীতে তা কমেছে।
অপরদিকে সুস্থতার সংখ্যাও আগের দিনর সমান, ২০ রয়েছে। যা তিনদিন আগেও ছিল ৭০ জন। এনিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে সর্বমোট ৭ হাজার ৮১৬ জন আক্রান্তের মধ্যে ৬হাজার ১৭২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমিত হিসেবে বলা হয়েছে। আর রোববার নতুন কোন মৃত্যু সংবাদ না থাকলেও এ অঞ্চলে মোট মারা গেছেন ১৬৩ জন। রোববার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৩৮ জনের নমুনা পরিক্ষায় ২৪ জনের করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে ভোলার ল্যবে ৪৫ জনের নমুনা পরিক্ষায় ৪ জনের পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।
রোববার দুপুরের পূবর্বর্তি ২৪ ঘন্টায় বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল আগের দিনের ২৭-এর স্থলে ১১ জন। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ৩,২৪২ জন আক্রান্তের মধ্যে ৬৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। পটুয়াখালীতেও আগের দিনের ১০ জনের স্থলে রোববার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪ জন। জেলাটিতে এ পর্যন্ত ১,৩৪৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমনে।
ভোলাতে আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের এক থেকে রোববার ৪ জনে উন্নীত হয়েছে। জেলাটিতে এপর্যন্ত ৬৮২ জন আক্রান্তের মধ্যে ৬ জন মারা গেছেন। পিরোজপুরেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ১ থেকে ৩ জনে উন্নীত হয়েছে।
জেলাটিতে রোববার পর্যন্ত ১,০১৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ২১ জনের মৃত্যু ঘটেছে। বরগুনাতেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের একজনের স্থলে ২ জনে উন্নীত হয়েছে। এ জেলায় রোববার পর্যন্ত ৮৬৯ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝালকাঠীতে আগের দিন কোন আক্রান্ত না থাকলেও রোববারে নতুন দুজন কোরনায় আক্রান্ত হয়েছে।
ছোট এ জেলাটিতে এপর্যন্ত ৬৬৪ জন আক্রান্তের মধ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে রোববার সকাল পর্যন্ত ৩৮জন ,আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৯ জন ও আইসিইউতে ৯জন চিকিৎসাধীন ছিল বলে জানা গেছে।