ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট ব্যবহারের বিধানসহ বিভিন্ন বিষয়ে ফেসবুকের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করতে চেয়েছিলো বাংলাদেশ পুলিশ। কিন্তু ফেসবুক কোনো দেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (মেমোরেন্ডাম অব আন্ডারস্টেন্ডিংস বা এমওইউ) স্বাক্ষর করে না। তবে তারা বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে সহায়তা করবে।
ঢাকায় ১৪টি দেশের পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে ইন্টারপোল এবং বাংলাদেশ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো তিনদিনব্যাপী ‘চিফ অব পুলিশ কনফারেন্সে অব সাউথ এশিয়া অ্যান্ড নেইবারিং কান্ট্রিস অন রিজিওনাল কো-অপারেশন ইন কার্ভিং ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম শীর্ষক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল- ‘Regional Cooperation in Curbing Violent Extremism and Transnational Crime’।
আইজিপি বলেন, ‘ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট ব্যবহারের বিধান রাখতে চাওয়া হয়েছিলো যাতে করে অ্যাকাউন্টটি আসলে কার তা জানা যায়। এ রকম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফেসবুকের সাথে এমওইউ স্বাক্ষরের কথা বলা হয়েছিল। ফেসবুকে আমরা বলেছি, ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকে প্রপাগান্ডা ছড়ায়, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়াচ্ছে। এগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায় সেজন্য আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। তারা ব্যাপারটি জানত না। এ জন্য ফেসবুকের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ফেসবুক কোনো দেশের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষর করে না। তবে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশকে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপরাধ সংগঠিত হয়। এ বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে সম্মেলনে ফেসবুকের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ফেসবুকের ওই প্রতিনিধির সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফেসবুকে এমন ধর্মীয় উস্কানির কথা শুনে প্রতিনিধিদল বিস্মিত হয়েছেন। তারা এমন ঘটনা আগে অন্য কোথাও দেখেননি বলে জানিয়েছেন। তারা জানান, এসব বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে। তাদের সাথে আমাদের চুক্তি না হলেও সরাসরি যোগাযোগ থাকবে এবং এসব বিষয়ে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে।’