বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মামুনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়ে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দিনগত রাতে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারলো অস্ত্রের ১৯টি আঘাতের ক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
একটি হত্যা মামলার ঘটনা নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে কুপিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ করেন মামুনের স্বজনরা।
মামুনের ছোট ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম বলেন, একটি হত্যা মামলার ঘটনা নিয়ে জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে আসা গোলাম সরোয়ার সবুজের সঙ্গে তার ভাই মামুনের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে ইতিপূর্বে একাধিকবার মামুনের ওপর হামলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন সবুজ।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে মামুন বরিশাল নগর থেকে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। মোটরসাইকেলটি ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাতশালা বাজার এলাকায় পৌঁছালে সবুজের নেতৃত্বে বারেক মোল্লা, মহিউদ্দিন মোল্লা, সোহেল মোল্লা, রনি মোল্লা, মানিক মোল্লাসহ অন্যান্যরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মামুনকে আহত করেন। খবর পেয়ে তাকে বাঁচাতে গেলে তার বাবা আবদুল মালেক হাওলাদারকেও কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।
শেবাচিম হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাজিবুল হক বলেন, সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন বাকেরগঞ্জের মামুন নামে এক রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, গোলাম সরোয়ার সবুজ ও ইউপি সদস্য মামুনের মধ্যে পুরনো বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জের ধরে সবুজের নেতৃত্বে মামুনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।