‘পুনর্বাসন না করে ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না’ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে হকার পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা কেন দেওয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
স্থানীয় সরকার সচিব, শ্রম সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, ন্যাশনাল ইকোনোমিক কাউন্সিলের সহকারি প্রধান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারোয়াত সিরাজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু রুল জারির বিষয়টি দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল ফুটপাত থেকে হকার উচ্ছেদ ও পুনর্বাসন বিষয়ে সরকার একটি নির্দেশনা জারি করেন। ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ফুটপাতের দোকানদারদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সাপ্তাহিক বন্ধের দিনগুলোতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলাকাভিত্তিক সাপ্তাহিক বাজারের ব্যবস্থা করতে হবে।
এছাড়া হকারদের স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির নির্ধারিত স্থানে বহুতল মার্কেট নির্মাণ করে হকারদের পুর্নবাসিত করতে বলা হয় ওই নির্দেশনায়।
কিন্তু সরকারের এই সিন্ধান্ত বাস্তবায়ন না করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ফুটপাত থেকে হকার কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশ ছিন্নমূল হকার্স সমিতির সভাপতি কামাল সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন। হকার উচ্ছেদ সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন রিট আবেদনে সংযুক্ত করা হয়।
হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিট আবেদনে বলা হয়, পুনর্বাসন না করে হকারদের উচ্ছেদ মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থি। সেই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত মঙ্গলবার এই রুল জারি করেন।