গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগে নতুন করে আরও ৩৬ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সাত হাজার ছাড়ালো।
২৪ ঘণ্টায় বিভাগটিতে আরও একজন বৃদ্ধ করোনায় মারা গেছেন। আর সুস্থ হয়েছেন ৮৭ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের ১৬৮ দিন বা সাড়ে ৫ মাসে বিভাগটিতে মোট আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ১৮৪ জন।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, দক্ষিণাঞ্চলে করোনা ভয়াবহ সংক্রমণ কখনোই ছিল না। তবে যে হারে সংক্রমিত হচ্ছিলো সেই ধারাবাহিকতা থাকলে বিপদজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। সবার সচেতনতা ও সহযোগীতায় প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা গেছে। নিয়ন্ত্রণ মানে সংক্রমণ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মোতাবেক এখনো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নয়তো যেকোনো সময়ে সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
অবস্থানগত দিক থেকে করোনা সংক্রমণে বরিশাল বিভাগ ষষ্ঠ অবস্থানে ও মৃত্যুর হারে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর বলছে, গত ৯ মার্চ বিভাগটিতে পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। আর ১০ মার্চ থেকে সংক্রমণের তালিকা করতে শুরু করে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।
গত ৯ মার্চ থেকে সোমবার (২৪ আগস্ট) পর্যন্ত ১৬৮ দিনে করোনা আক্রান্ত (পজিটিভ) রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে বরিশাল জেলায় নতুন ১৪ জনসহ দুই হাজার ৯৭৫ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন ১১ জনসহ এক হাজার ২৫৫ জন, ভোলা জেলায় নতুন চারজনসহ ৬৩৩ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন করে শনাক্ত নেই। ফলে জেলাটিতে আগের ৯১০ জনই এখন পর্যন্ত শনাক্ত। বরগুনা জেলায় নতুন একজনসহ ৮০৮ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন ছয়জনসহ ৬০৩ জন। এখন পর্যন্ত বিভাগটিতে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৩৭৮ জন। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় দুই হাজার ৩০৭ জন, পটুয়াখালী জেলায় ৯৮৪ জন, ভোলা জেলায় ৫৫২ জন, পিরোজপুর জেলায় ৫৫৯ জন, বরগুনা জেলায় ৬১৪ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় ৩৬২ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিভাগটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ১৪৭ জন। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ৫৬ জন, পটুয়াখালী জেলায় ৩৫ জন, ভোলায় ছয়জন, পিরোজপুর জেলায় ১৯ জন, বরগুনা জেলায় ১৭ জন এবং ঝালকাঠি জেলায় ১৪ জন।