ইন্টারপোলের সহযোগি ১৯০টি দেশের সঙ্গে পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যমে এই জঙ্গিবাদ চ্যালেঞ্জকে মোকাবেলা করতে ইন্টারপোল সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছেন ইন্টারপোলের সেক্রেটারি জেনারেল জার্গেন স্টোক (jurgen stock)।
রাজধানীর হোটেল সোনারগাওয়ে রবিবার দুপুরে ইন্টারপোল এবং বাংলাদেশ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য- Regional Cooperation in Curbing Violent Extremism and Transnational Crime.
সম্মেলনে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম এ ১৪টি দেশের পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়া ইন্টারপোল, ফেসবুক, ইন্টারপোল গ্লোবাল কমপ্লেক্স ফর ইনোভেশন (আইজিসিআই), যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), আসিয়ানাপোল (ASEANAPOL), ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ট্রেনিং অ্যাসিসট্যান্স প্রোগাম (আইসিআইটিএপি)সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।
জার্গেন স্টোক বলেন, বিশ্বের ১৯০ টি দেশে ইন্টারপোল পুলিশি সহায়তা প্রদান করে আসছে। অপরাধ দমন করে সুরক্ষিত বিশ্ব গঠনে পারস্পরিক তথ্য আদান প্রদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক যোগাযোগ সুদৃড় করতে এ সম্মেলনের আয়োজন। আন্তর্জাতিক যোগাযোগ রক্ষায় ইন্টারপোল সবসময়ই বাংলাদেশকেও সহায়তা দিয়ে থাকে। কয়েকটি রাষ্ট্রের মধ্যে এমন সম্মেলন নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ করে দেয়। তাই প্রথমবারের মত ঢাকায় ইন্টারপোল ও বাংলাদেশ পুলিশের যৌথ উদ্যোগে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সম্মেলনে দক্ষিন এশিয় দেশসমূহের মধ্যে আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসবাদ নিয়ে আলোচনা করা হবে। সাইবার অপরাধ, জঙ্গিবাদ, বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনার মাধ্যমে এ সকল অপরাধ দমনে সকলে মিলে উপায় খুঁজে পেতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশে গত বছরে বড় ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড মোকাবেলা করেছে। তবে সফলতার সাথেই বাংলাদেশ এটি মোকাবেলা করেছে। এ সকল বিষয় নিয়ে পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আদান-প্রদানের জন্য এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইন্টারপোলের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, এখানে বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য আদান-প্রদান হবে। যা থেকে করনীয় বিষয়গুলো বের হয়ে আসবে। এ সম্মেলন শুধু দক্ষিন এশিয়ার দেশগুলোর জন্যই নয় সন্ত্রাস দমনে আন্তর্জাতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।