বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের হত্যাকাণ্ডে পুলিশের প্রতি অনাস্থা আরও বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসর) এম সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেছেন, সিনহা এমন অন্যায় করেনি, যে কারণে তাকে গুলি করতে হলো! সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তদন্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু মিডিয়াতে যেভাবে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ওঠে এসেছে, তা সত্যিই অবাক করেছে। একটি পুলিশ ফাঁড়ির কাছে ঘটনা। ফাঁড়িতে বহু পুলিশ থাকেন। আর নিহত সিনহারা ছিলেন, মাত্র দু’জন’।
তিনি বলেন, ‘অন্যায় করলে তাকে গ্রেফতার করা যেত। এভাবে গুলি করে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড কিনা তা বলার সময় আসেনি, কিন্তু এর দায় পুলিশ সদস্যরা এড়াতে পারে না। আমি নিশ্চিত স্বরাষ্টমন্ত্রী এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে সিরিয়াস হবেন। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করছি সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে’।
কোনো ষড়যন্ত্র কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, ‘আমি বলতে চাই না পুলিশের মধ্যে সরকারবিরোধীরা সক্রিয়। কিন্তু ক্রসফায়ার নিয়ে তো সমালোচনা আছেই। পুলিশ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাও প্রমাণিত। থানার ওসিদের অনেকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ। পুলিশের কর্মকাণ্ডে সরকার বিব্রত আগে থেকেই। আর এই ঘটনা সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। করোনাসহ নানা সমস্যা সামলাতে হচ্ছে সরকারকে। এমন সময়ে এই ঘটনার জন্য কেউই প্রস্তুত থাকার কথা নয়। তদন্তের মাধ্যমে সত্যটি বেরিয়ে আসুক। আস্থা ফিরে আসুক জনমনে’।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।
এক সময় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সে দায়িত্ব পালন করা রাশেদের বয়স ছিল ৩৬ বছর। তার বাবা প্রয়াত এরশাদ খান ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন সাবেক উপসচিব।