রির্পোটঃজাকারিয়া আলম দিপু.
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ড্রপ আউট থেকে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, কোটিপতি বিল গেটসকে নিয়ে বিশ্বজুড়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এই প্রতিবেদনে রইল তাঁকে নিয়ে অজানা এক ডজন তথ্য। তাঁর জীবনী, তাঁর উপর লেখা বই, তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের দেওয়া সাক্ষাৎকার ও নানা জনশ্রুতি থেকে পাওয়া তথ্য সাজিয়ে দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে-
১. হাই স্কুলে কিশোর বিল গেটসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, কম্পিউটার ব্যবহার করে ক্লাসের রুটিন ঠিক করার। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিল সেই সব মেয়েদেরই নিজের ক্লাসে বসতে দিতেন, যাঁদের তিনি পছন্দ করতেন।
২. হার্ভার্ডে যে ক্লাস করতে ভর্তি হয়েছিলেন, কোনওদিন সেই সব ক্লাসে যাননি। তবু কোনও এক জাদুবলে প্রতিবারই বার্ষিক পরীক্ষায় ‘এ’ মার্কস পেতেন।
৩. মাত্র ২০ বছর বয়সে জটিল এক অঙ্কের সমাধান করে হার্ভার্ডের অধ্যাপকদের চমকে দিয়েছিলেন গেটস। যে অঙ্কের সমাধান গত ৩০ বছর ধরে হার্ভার্ডে কেউ করতে পারেননি, বিল প্রায় চোখের নিমেষে সেটির সমাধান করে দেন। অথচ কোনও কৃতিত্ব দাবি করেননি।
৪. দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর জন্য তিনবার জরিমানা দিতে হয় বিল গেটসকে। পোর্সে ৯১১ চেপে সিয়াটলে তাঁর নতুন বাড়িতে যাওয়ার সময় দু’বার জরিমানার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পোর্সে গাড়ির প্রতি অসম্ভব প্রেম ছিল গেটসের। একবার এক বন্ধুর কাছ থেকে একটি পোর্সে ৯২৮ সুপারকার চেয়ে নেন। মাইক্রোসফটের দফতরে যাওয়ার সময় বিপজ্জনক গতিতে গাড়িটি চালানোর সময় সেটি উল্টে যায়। গাড়িটি সারাতে প্রায় ১ বছর সময় লেগেছিল।
৫. প্রত্যেক মাইক্রোসফট কর্মীর গাড়ির নম্বর মুখস্ত গেটসের। সেই নম্বর ধরেই তিনি মনে রাখেন, কে কখন দফতরে আসছে বা যাচ্ছে।
৬. উইন্ডোজের ক্লাসিক গেম Minesweeper-এর ভক্ত বিল। গেমটির প্রতি তাঁর এমনই নেশা ছিল, যে অফিসে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে ওই একটি খেলাই খেলে যেতেন পিসি-তে। এতে কাজের ক্ষতি হচ্ছে বুঝতে পেরে পিসি থেকে গেমটি আন-ইনস্টল করে দেন।
৭. সংস্থার মালিক হয়েও দীর্ঘদিন ধরে বিমানের ইকোনমি ক্লাসে যাতায়াত করেন বিল। কারণ, তখন মাইক্রোসফটের সব কর্মীরাই অন্যত্র উড়ে যাওয়ার জন্য অফিস থেকে ইকোনমিক ক্লাসেরই টিকিট পান। বিল গেটস নিজের ক্ষেত্রেও নিয়মের অন্যথা করেন না।
৮. কোনও কাজ মনের মতো না হলে গেটসের মুখ থেকে অশ্রাব্য ভাষা বেরিয়ে আসে বলে জানিয়েছেন তাঁর সহকর্মীরা।
৯. কর্মীরা তাঁর কাছ থেকে কিছুই গোপন রাখতে পারেন না। কারণ, বিল নিজেই একজন দক্ষ মানবসম্পদ। তাঁকে বোকা বানানো অফিসে কারও পক্ষে সম্ভব হয়নি কোনওদিন।
১০. DOS অপারেটিং সিস্টেমের জন্য ONKEY.BAS নাম একটি গেম কোডিং করেন বিল গেটস ও তাঁর সহকর্মী নিল কোনজেন।
১১. ডিশ ধুতে ভালবাসেন বিল গেটস।
১২. একবার এক সাংবাদিক তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে এলে গেটস বাথরুমে ঢুকে যান। যতক্ষণ না ওই সাংবাদিক পুরনো একটি স্টোরির জন্য ক্ষমা চান, ততক্ষণ বাথরুম থেকে বেরোননি গেটস।