দেশের প্রায় সকল পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে! এবার ফাঁস হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। প্রশ্নপত্র ফাঁস, অবৈধ পথে তা গ্রহণ ও সমস্যার সমাধান না হওয়া আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার নৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়েপড়ার আলামত।
প্রাথমিক সমাপনী থেকে শুরু করে বিসিএস, মেডিকেল—এমন কোন পরীক্ষা নেই যার কোনো না কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি! এটা বছরের পর বছর চলেই আসছে। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হয়েছে এবং কয়েকজনকে অভিযুক্ত করেমামলাও হয়েছে। ভিবিন্ন সময় এটা দেখা গেছে ফাঁসচক্রটি গঠিত, প্রশ্ন প্রণয়ন থেকে শুরু করে সরকারি প্রেসে ছাপার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের নিয়েই। কিন্তু অনেক সময় নীতিনির্ধারকেরা সত্য ‘অস্বীকার’ করে সমস্যা আড়ালের চেষ্টাকরে গেছেন। এতে প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্র আরও উৎসাহিতই হচ্ছে।
ফাঁস করা প্রশ্নের ‘পরীক্ষা’র কারণে দেশে শিক্ষার মান অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটা মোটেই বিশ্বাস্য নয় যে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানোয় কোনো নিশ্চিত পদ্ধতি উদ্ভাবন করা যাবে না। শীর্ষ পর্যায়ে সদিচ্ছা ও বাস্তবায়নের পর্যায়ে দক্ষ ওসৎমানুষকে এ কাজে জড়িত করতে হবে। প্রশ্ন ফাঁস শিক্ষা-বাণিজ্যিকীকরণের সবচেয়ে নিকৃষ্ট ধাপ। তাই হাত দিতে হবে গোড়ায়। এমন পরীক্ষাপদ্ধতি চয়ন করতে হবে, যাতে প্রশ্ন ফাঁসের সুযোগ না থাকে।
সকল পরীক্ষার জন্য ৪ অথবা ৫ কিংবা এরও অধিক প্রশ্নের সেট করা এবং এক সেটের সাথে অন্য সেটের কোন প্রশ্নই মিলবেনা এবং সব সেট সকল পরীক্ষার কেন্দ্রে যাবে এবং পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে একজন মূল কর্মকর্তা লটারি করে এক সেট নির্বাচন করবেন এরপর প্রতি কেন্দ্রের সুপারের কাছে বোর্ড এর নিদৃস্ট নাম্বার থেকে এস এম এস / টিভি মিডিয়া এর মাধ্যমে নির্বাচিত সেট জানিয়ে দিবেন এবং সেই সেট দিয়েই পরিক্ষা হবে।
অবশ্যই কঠোর আইনের বাস্তবায়ন করে ফাঁস চক্রটিকে সাজা দিতে হবে। এবং একই সাথে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে এমন ধারনা যে তারা কেবল সার্টিফিকেটের জন্য নয় বরং দেশে, জাতি, ও সমাজের উন্নয়োন করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে তাকে এটাই তার মূল লক্ষ।
তবে শিক্ষাব্যবস্থার স্তরে স্তরে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিদের ক্ষমতায়নের বিকল্প নেই। এবং শিক্ষা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে শিক্ষক, অভিভাবক সবারই এই ব্যাধি দূর করতে জেগে ওঠা দরকার।
(Visited ৪ times, ১ visits today)