রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র আইনে করা মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়ার আদালতে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শায়রুল এ চার্জশিট জমা দেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, অস্ত্র মামলার ক্ষেত্রে ১৫ দিনের বাধ্যবাদকতা রয়েছে, আমরা এর মধ্যেই করেছি। অস্ত্র পজিশনে পাওয়া গেলে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধ, সেটা তিনি যদি ব্যবহার নাও করেন তাও অপরাধ। অস্ত্র মামলায় সাজা নিশ্চিত করতে যে ধরনের তথ্য-প্রমাণাদি দরকার আমরা সবকিছুর সত্যতা নিশ্চিত করেছি এবং তা সত্য প্রমাণিত হয়েছে। এখন আদালত বিচার করে এর রায় দেবেন।
আব্দুল বাতেন আরও বলেন, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের একটি অস্ত্র মামলা আমরা তদন্ত শেষ করেছি। দুজন সাক্ষীর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। সাহেদ যখন আমাদের রিমান্ডে ছিলেন, তখন ভাষ্যমতে তার ব্যবহার করা গাড়িটি আমরা জব্দ করি এবং গাড়ি থেকে অবৈধ অস্ত্র জব্দ করি।
এদিকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেফতারের ঘটনা তদন্তের জন্য সাহেদকে সাতক্ষীরায় নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে র্যাবের একটি টিম সাহেদকে নিয়ে সাতক্ষীরার দেবহাটার উদ্দেশে রওনা হয়। দেবহাটা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন সাহেদ।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ডে থাকা সাহেদকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটা মামলা দায়ের করা হয়।