দৈনিক বিপ্লবী বাংলাদেশ পত্রিকার প্রকাশক শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য, প্রবীন সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ ও বিএম কলেজের সাবেক অধ্যাপক সুলতানা বেগম দম্পত্তির কন্যা ফারহানা সুলতানা উর্মী ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না লিল্লাহী ওয়াইন্না ইলাহী রাজিউন)। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার দিকে তার বুকে ব্যথা অনুভব হলে প্রথমে রাহাত আনোয়ার হাসপাতাল ও পরে শেবাচিম হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার কিছুক্ষণ পরেই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন হার্ট অ্যাটাকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। তিনি স্বামী, বাবা-মা, ছোট ভাইসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা উর্মি দীর্ঘ সময় ধরে স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে গত মে মাসে একই সমস্যা নিয়ে ঢাকার আজগর আলী মেডিকেলে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এর পর তাকে বরিশালে নিয়ে আসা হয়। বিকেলে আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষন পরই মৃত্যু হয় তার। তার বাবা নুরুল আলম ফরিদ জানান, কয়েকদিন আগে উর্মির মস্তিস্কে রক্তক্ষরন হয়। এ অবস্থায় তিনি ঢাকা থেকে বরিশালে আসেন। বরিশালে তিনি চিকিৎসার জন্য একজন চিকিৎসকের কাছে বারবার স্বরনাপন্ন হয়েছেন। কিন্তু ওই চিকিৎসক করোনার অজুহাত দেখিয়ে উর্মির চিকিৎসা করেননি।
নুরুল আলম ফরিদ-সুলতানা দম্পত্তির এক ছেলে এক মেয়ের মধ্যে উর্মি ছিলেন বড়। তার মৃত্যুর খবর শুনে নুরুল আলম ফরিদের নগরীর বাসভবনে ছুটে যান সিনিয়র সাংবদিক এ্যাড. মো: ইসমাইল হোসেন নেগাবান মন্টু, নজরুল ইসলাম চন্নু, এমএম আমজাদ হোসেন, সৈয়দ দুলাল, আনিছুর রহমান স্বপন, আমিনুল ইসলাম খসরু, কাজী মকবুল হোসেন, মুরাদ আহমেদ, স্বপন খন্দকার, কাজী মিরাজ, পুলক চ্যাটার্জি, গোপাল সরকার, জাকির হোসেন, নজরুল বিশ্বাস, মিথুন সাহা, আলী জসিমসহ বরিশালের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এদিকে মরহুমার জানাজার নামাজ আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নগরীর চৈতন্য স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। পরে নগরীর মুসলিম গোরস্থানে দাদির পাশে দাফন করা হবে। সাংবাদিক নুরুল আলম ফরিদের একমাত্র কন্যার অকাল মৃত্যুতে সাংবাদিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।