শনিবার , ১১ মার্চ ২০১৭ | ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. Featured
  2. অন্যান্য খেলার সংবাদ
  3. অন্যান্য ধর্ম
  4. অপরাদ
  5. অর্থনীতি
  6. অলটাইম নিউজ লেটার
  7. আইটি টেক
  8. আইন – আদালত
  9. আইন শৃংখলা বাহিনী
  10. আন্তর্জাতিক
  11. আবহাওয়া বার্তা
  12. ইসলাম
  13. উদ্যোগ এবং পরিবর্তন
  14. ওয়েবসাইট
  15. কবিতা

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী গমন শুরু

প্রতিবেদক
alltimeBDnews24
মার্চ ১১, ২০১৭ ১:৩১ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় গেলেন ৯৮ জন বাংলাদেশি কর্মী।এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অন্যতম বড় শ্রমবাজার মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানির দ্বার উন্মোচন হলো।

শুক্রবার (১০ মার্চ) রাত পৌনে ১০টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এসব কর্মী নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট (বিজি-০৮৬) কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করে। এই ফ্লাইটে ৯৮ কর্মীর সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার ২ জন কর্মকর্তাসহ ৬ জন রয়েছেন।

‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে মালয়েশিয়াগামী কর্মীদের বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম শামছুন নাহার। এ সময় জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক সেলিম রেজাসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বায়রা সভাপতি বেনজির আহমেদ ও মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপনসহ জনশক্তি কর্মসংস্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার রাতে বায়রা মহাসচিব রুহুল আমিন স্বপন দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত তিন দফায় আরও চার শতাধিক কর্মী মালয়েশিয়ায় যাবে বলে আশা করছি। সেবা খাত ও শিল্প-কারখানার জন্য এসব কর্মী পাঠানো হচ্ছে।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ে সেবাখাতের ৯৮ জন কর্মী সার্ভিস (সেবা) সেক্টরের আওতায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ‘কার্গো লোডার’ পদে নিয়োগ পেয়েছেন।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হলে কেউ আর অবৈধ পন্থায় সে দেশে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারণ জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে একজন কর্মী তিন বছরের ভিসা নিয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন। পরবর্তী সময়ে আরও দুই বছর ভিসা নবায়ন করতে পারবেন। শুধু তা-ই নয়, নিয়োগকর্তা চাইলে কর্মীরা আরো পাঁচ বছর সেখানে অবস্থান করতে পারবেন। ভিসা নবায়ন ফি নিয়োগকর্তাই বহন করবেন। সব কিছুই আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) অনুসৃত বিধান অনুযায়ী করা হচ্ছে।

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, মালয়েশিয়া সরকারের চাহিদাপত্রে বলা হয়েছে, যারা যাচ্ছেন তাদের দৈনিক আট ঘণ্টা কর্মঘণ্টা হবে। চাইলে ওভারটাইমও করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকারের শ্রম আইন প্রযোজ্য হবে। চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকা মাসিক বেতনই কর্মীদের দেওয়া হবে। বেতন পরিশোধ করা হবে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। কোনো কম্পানি বেতন-ভাতা কম দিতে চাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই তথ্য চলে যাবে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে। সুতরাং বেতন-ভাতা নিয়ে কোনো নিয়োগকর্তাই জালিয়াতি করতে পারবেন না।

বায়রার সভাপতি বেনজির আহমেদ বলেছেন, ‘আগে কর্মীদের কোনো বীমা সুবিধা ছিল না। এখন যারা যাচ্ছে তাদের প্রতিজনের দুই লাখ টাকার বীমা সুবিধা থাকছে। আর অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বায়োমেডিক্যাল করা হচ্ছে। প্রতারিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।’

উল্লেখ্য যে, বিদায়ী ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে কর্মী পাঠানোর সুযোগ রেখে মালয়েশিয়ার সঙ্গে ‘জিটুজি প্লাস’ চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। চুক্তির পরদিনই মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মী নেওয়া বন্ধ ঘোষণা করে। কয়েক মাস আগে সেই ঘোষণা প্রত্যাহার করে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ। এর পরই জিটুজি প্লাস চুক্তির আলোকে কর্মী নিয়োগের বিষয়টি সামনে চলে আসে। তবে কর্মী পাঠানো নিয়ে ম্যানপাওয়ার ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্বে উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায় বিষয়টি। বার বার ঘোষণা দিয়েও নির্ধারিত সময়ে কর্মী পাঠানো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়ায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের। তবে, শেষ পর্যন্ত দেশটিতে শুক্রবার কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে বড় পরিসরে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া শুরু হলো বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

 

(Visited ১৩ times, ১ visits today)

সর্বশেষ - অর্থনীতি