বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এ পর্যন্ত মোট ৬৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া সুস্থ হয়েছে ১৪৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে ভোলা ও ঝালকাঠি ব্যতীত চার জেলায় ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ ভিন্ন জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ফলে গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বরিশাল সিটি করপোরেশনসহ বিভাগের ছয় জেলায় মোট ১৪ হাজার ৭০৯ জনকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।
যারমধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় ১৩ হাজার ৭১০ জনকে। এরমধ্যে ১১ হাজার ৫১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিভাগের বিভিন্ন জেলায় হাসপাতালে (প্রতিষ্ঠানিক) কোয়ারেন্টিনে ৯৯৯ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৭৭৯ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসা পাওয়া রোগীর সংখ্যা ৬৭৫ জন। এরইমধ্যে ৩০৮ জনকে ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শুধুমাত্র বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন ও করোনা ওয়ার্ডে মোট ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এ পর্যন্ত। যারমধ্যে ছয়জন করোনা পজেটিভ রোগী ও বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এদিকে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস জানান, বিভাগের মধ্যে এ পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ৩৬৪ জন, পটুয়াখালীতে ৬৩ জন, ভোলায় ৪৬ জন, পিরোজপুরে ৬৯ জন, বরগুনায় ৬৭ জন ও ঝালকাঠিতে ৫৩ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। যারমধ্যে গোটা বিভাগে ১৪৮ জন করোনা পজেটিভ রোগী সুস্থ হয়েছেন। যাদের এরইমধ্যে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সর্বশেষ পিরোজপুরের নেছারাবাদে এক বৃদ্ধ, পটুয়াখালীর গলাচিপায় এক নারী ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠির এক বৃদ্ধের নমুনা পরীক্ষা করা হলে তাতে করোনা পজেটিভ আসে। তবে রিপোর্ট আসার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।
এছাড়া এর আগে মৃত্যু হওয়া করোনা পজেটিভ ১১ জনের মধ্যে পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলা, মির্জাগঞ্জ ও দুমকিতে একজন করে তিনজন, বরগুনা জেলার আমতলী ও বেতাগীতে একজন করে দু’জন, ঝালকাঠির নলছিটি ও কাঠালিয়াতে একজন করে দু’জন, বরিশালের মুলাদীতে দু’জন, পিরোজপুরের নাজিরপুরে একজন ও ভোলার লালমোহনে একজন রয়েছেন।