ঝালকাঠি সদর উপজেলার কেওড়া ইউনিয়নের রনমতি গ্রামের কৃষক আব্দুস সাত্তার। বর্গাচাষি হিসেবে তিনি এক বিঘা জমি চাষ করেন। করোনার কারণে শ্রমিক না পাওয়ায় ধান পেকে মাঠেই পড়েছিল তার।
হতাশাগ্রস্ত কৃষক সাত্তারের ধান নিয়ে বিপাকে পড়ার বিষয়টি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এসএম আল-আমিনের নজরে আসে।
তারা মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে হাজির হন কৃষকের বাড়িতে। পরে কাস্তে হাতে নিয়ে জমিতে নেমে যান তারা। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এক বিঘা জমির ধান কেটে আঁটি বেঁধে কৃষকের ঘরে তুলে দেন তারা। এতে কৃষকের মুকে হাসি ফোটে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আল-আমিন বলেন, কেওড়া ইউনিয়নের রনমতি গ্রামের কৃষক সাত্তারের পাকা বোরো ধান নিয়ে বিপাকে আছেন। এমন সংবাদ আমাদের ছুটে যাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দেই।
কৃষক সাত্তার বলেন, ধান কাটার লোক পাই না। পেকে ঝরে যাওযার পালা। রমজান মাস, একার পক্ষে ধান কেটে ঘরে তোলাও সম্ভব না। ছাত্রলীগের ছেলেরা আমার ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন। আমি তাদের জন্য দোয়া করেছি।